বান্দরবানের থানচিতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) এক সদস্য নিহত হয়েছেন। এসময় কেএনএফের আরও এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ। গতকাল বুধবার সকালে থানচি উপজেলার রেমাক্রী ইউনিয়নের চিংসং পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, থানচি উপজেলার রেমাক্রী ইউনিয়নের তাজিংডং পাহাড় চূড়া এলাকাস্থ চিংসং পাড়ায় পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ সদস্যরা অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে যৌথ বাহিনীর একটি দল বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে অভিযানে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে কেএনএফ সদস্যরা গুলি চালায়। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ থেমে থেমে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে কেএনএফের এক সদস্য নিহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে কেএনএফের আরও এক সশস্ত্র সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে ঘটনাস্থল দুর্গম এলাকায় হওয়ায় নিহত ও গ্রেপ্তারকৃত কেএনএফ সদস্যের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী জানান, যৌথ বাহিনীর অভিযানে কেএনএফের এক সদস্য নিহত হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কেএনএফের আরও এক সদস্যকে গ্রেপ্তার হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় অস্ত্র ও গোলাবারুদ।
প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল রাতে সোনালী ব্যাংক রুমায় শাখায় হামলা, পুলিশ–আনসারের অস্ত্র লুট এবং ৩ এপ্রিল দুপুরে থানচি উপজেলার সোনালী ব্যাংক এবং কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, হামলা ও টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় রুমা থানায় ১৪টি, থানচি থানায় ৪টি, বান্দরবান সদর থানায় একটি এবং রোয়াংছড়ি থানায় ৩টিসহ মোট ২২টি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় আসামিদের আইনের আওতায় আনতে যৌথবাহিনীর অভিযানে এরই মধ্যে কেএনএফের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১০৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।