পেকুয়ায় চেয়ারম্যান পদে ৫০ জনের মনোনয়ন বৈধ

ইউপি নির্বাচন

পেকুয়া প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ৪ নভেম্বর, ২০২১ at ১০:২৪ অপরাহ্ণ

আসন্ন ২৮ নভেম্বর ৩য় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পেকুয়া উপজেলার ৬ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থীসহ ৫০ জনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে বৈধ ঘোষণা করেন পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাচন সমন্বয়ক পূর্বিতা চাকমা।

তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫০ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৭৭ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ২৮৪ জনের মনোনয়ন পত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়। সূত্র জানায়, সদর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১০ জন, বারবাকিয়া ইউনিয়নে ৫ জন, উজানটিয়া ইউনিয়নে ৮ জন, মগনামা ইউনিয়নে ১৩ জন, রাজাখালীতে ৬ জন ও শিলখালী ইউনিয়নে ৮ জনের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন পেকুয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার রেজাউল করিম, বারবাকিয়া ও রাজাখালী ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সালামত উল্লাহ, শিলখালী ও উজানটিয়া ইউনিয়ননের রিটার্নিং অফিসার আনোয়ারুল আমিন।

উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সরবরাহকৃত তথ্যে জানা যায়, পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১০ জন, সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৯ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৬৪ জনের মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নাছের গেফারী, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী ওমর ফারুক, ইউছুপ রুবেল, ওমর রিয়াজ চৌধুরী, এড, রাশেদুল কবির, মাহাবুবুল করিম, মুহাম্মদ ছরওয়ার উদ্দিন ও নুরুল গফফার চৌধুরী।

বারবাকিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। তৎমধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে জিএম আবুল কাশেম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মোঃ বদিউল আলম, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোছাইন, জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান এএইচএম বদিউল আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হক সহ সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৬ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৫০ জনের দাখিলকৃত মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

উজানটিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন প্রার্থী বৈধ হয়। তাদের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে বর্তমান চেয়ারম্যান এম শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মো: শাহাজাহান, ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি তোফাজ্জল করিম, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম চৌধুরী, বিএনপি নেতা আনোয়ার হোছাইন এমজারুল, স্বতন্ত্র প্রার্থী দেলোয়ার করিম চৌধুরী, রবিউল করিম ও শফিউল আলম। এই ইউনিয়নে সংরক্ষিত সদস্য পদে ১০ জন,সাধারণ সদস্য পদে ৩৫ জনের দাখিলকৃত মানোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত হয়।

এবারে চেয়ারম্যান পদে সবচেয়ে বেশী প্রার্থী হন মগনামা ইউনিয়নে। এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন, সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৩ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৪২ জনের মনোনয়ন বৈধ হয়।আওয়ামী লীগ থেকে ইউনিয়ন আ’লীগের সহ-সভাপতি মো: নাজেম উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মুহাম্মদ ইউসুফ,জাতীয় পার্টি থেকে মো. আলমগীর, আওয়ামী লীগ সমর্থিত বিদ্রোহী প্রার্থী খোরশেদুল ইসলাম ও উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মোজাম্মেল হোছাইন, স্বতন্ত্র প্রার্থী শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম, জামায়াত সমর্থিত শহিদুল মোস্তাফা, ইউনুছ চৌধুরী, বিএনপি সমর্থিত তৌহিদুল আলম নূরী, রিয়াজুল করিম, মো. নুরুল আমিন, শাহেদুল ইসলাম ও গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।
রাজাখালীতে ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৬ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ হয়।

আওয়ামী লীগ থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুল, বর্তমান চেয়ারম্যান মো. ছৈয়দ নুর, জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. হুমায়ুন কবির, স্বতন্ত্র প্রার্থী তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাইদুল ইসলাম চৌধুরী ও জিয়াসমিন সোলতানা। সংরক্ষিত সদস্য পদে ৯ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৫৪ জনের দাখিলকৃত মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত হয়।

শিলখালী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হন ৮ জন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. কাজিউল ইনসান, বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল হোছাইন, আবু ছিদ্দিক, আবদু রশিদ, মো. কামাল হোছাইন, মো. শাহাজাহান, শামসুউদ্দিন আহমদ ও নাছির উদ্দিন আহমদ। সংরক্ষিত সদস্য পদে ৯ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৪০ জনের দাখিলকৃত মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাড়ছে পানির দাম
পরবর্তী নিবন্ধনারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতায়ন সম্ভব