নিজের অফিসে ডেকে এনে এক ব্যক্তিকে গালাগাল ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) এক অতিরিক্ত উপ-কমিশনারের বিরুদ্ধে।
ঐ ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন, তাকে ঐ পুলিশ কর্মকর্তা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন।
এমন অভিযোগ আজ এনে বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) সিএমপি কমিশনার সালেহ্ মোহাম্মদ তানভীর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মো. রুবেল নামে এক ব্যক্তি। আর অভিযোগ সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নাদিরা নুরের বিরুদ্ধে। বাংলানিউজ
অভিযোগে উল্লেখিত ঘটনার সময় তিনি সিএমপির এস্টেট বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। বর্তমানে তিনি উত্তর জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন।
অভিযোগকারী মো. রুবেল সাতকানিয়া উপজেলার পূর্ব ঘাটিয়াডাঙ্গা এলাকার সুলতান আহমদের ছেলে। তিনি বায়েজিদ থানাধীন চৌধুরীনগর এলাকায় বসবাস করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।
মো. রুবেল অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত ৩ অক্টোবর দুপুরে এসআই গোলাম মোহাম্মদ নাসিমের মাধ্যমে বায়েজিদের তারা গেইট এলাকা থেকে সিএমপির পুলিশ লাইন্সে ডেকে আনেন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নাদিরা নুর। সেখানে তাকে গালাগাল করে হুমকি দেন।
জনৈক মো. ইলিয়াছের আইজিপি বরাবর করা একটি অভিযোগ তদন্ত করতে রুবেলকে ডেকে আনেন বলে উল্লেখ করেন মো. রুবেল।
তবে নিজের বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলছেন পুলিশ কর্মকর্তা নাদিরা নুর। তার দাবি, অভিযোগকারীকে তিনি চেনেন না।
অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নাদিরা নুর বলেন, “রুবেল নামে কাউকে আমার অফিসে ডাকিনি। আর আমি তাকে সরাসরি ডাকার প্রশ্নই আসে না। যদি কোনো অভিযোগের বিষয়ে ডাকতে হয় তাহলে ঐ ব্যক্তি যে থানার অধীনে বসবাস করেন সেই থানার ওসির মাধ্যমে ডাকানোর নিয়ম। আমি তাকে অফিসে ডেকে গালাগাল দেব তা কি বিশ্বাসযোগ্য?”
নাদিরা নুর বলেন, “আমি কোনো অভিযোগ তদন্ত করছি না। সম্প্রতি আমি অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) হিসেবে যোগদান করেছি। এটি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আমি মেয়ে বলে হয়তো একটি পক্ষ চাচ্ছে না এমন দায়িত্বে থাকি।”
এদিকে নাদিরা নুরের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী মো. রুবেলের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। মো. রুবেল দাবি করেন, ২০১৮ সালে ষড়যন্ত্রমূলক তাকে দুইটি মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। দুইটি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
সিএমপি কমিশনার সালেহ্ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, “অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”