পাপুয়া-নিউগিনিতে ভূমিধসে চাপা পড়ছে ২ হাজারেরও বেশি মানুষ

| মঙ্গলবার , ২৮ মে, ২০২৪ at ৭:৩৭ পূর্বাহ্ণ

পাপুয়া নিউ গিনির ব্যাপক ভূমিধসের ঘটনায় দুই হাজারেরও বেশি মানুষ জীবন্ত চাপা পড়ে থাকতে পারে বলে দেশটির সরকার জানিয়েছে। অপ্রত্যাশিত বিপদের ঝুঁকিতে ভরা বন্ধুর ভূমিরূপের কারণে এলাকাটিতে প্রয়োজনীয় সহায়তা পাঠানো কঠিন হয়ে আছে, এতে জীবিতদের খুঁজে না পাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। রয়টার্স জানিয়েছে, দেশটির জাতীয় দুর্যোগ কেন্দ্র সম্ভাব্য চাপা পড়া মানুষের সংখ্যা ২০০০ বলে জাতিসংঘকে পাঠানো এক চিঠিতে জানিয়েছে। খবর বিডিনিউজের।

চিঠিটি সোমবার প্রকাশিত হলেও তাতে রোববারের তারিখ দেওয়া আছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) সম্ভাব্য মৃতের সংখ্যা আরও অনেক কম, ৬৭০ জনের মতো হতে পারে বলে জানিয়েছিল।

এসব ভিন্নতায় এলাকাটির দূরবর্তীতা ও সেখানকার প্রকৃত জনসংখ্যার হিসাব পাওয়ার জটিলতাই প্রতিফলিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। পাপুয়া নিউ গিনির শেষ বিশ্বাসযোগ্য আদমশুমারি অনুযায়ী, ওই এলাকার বিচ্ছিন্ন পার্বত্য গ্রামগুলোতে অনেক মানুষ বসবাস করে। শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোররাত ৩টার দিকে ভূমিধসের ঘটনাটি ঘটে। তখন ওই মগুলোর অধিকাংশ মানুষই ঘুমিয়ে ছিলেন। ভূমিধসে ইয়াম্বলি গ্রামটি পুরোপুরি চাপা পড়েছে। এখানে প্রায় দোতালা সমান উঁচু মাটি ও আবর্জনার নিচে ১৫০টিরও বেশি বাড়ি চাপা পড়েছে। উদ্ধারকর্মীরা স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তারা মাটির নিচে থেকে আসা আর্তনাদের আওয়াজ পেয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা এভিট কাম্বু রয়টার্সকে বলেন, যেখানে আমি দাঁড়িয়ে আছি এখানে এই মাটি ও আবর্জনার নিচে চাপা পড়ে আছে আমার পরিবারের ১৮ জন সদস্য আর এই গ্রামের আরও বহু পরিবারের সদস্যরা, আমি গুণতে পারছি না।

আমি এসব মৃতদেহ তুলতে পারছি না তাই অসহায়ের মতো এখানে দাঁড়িয়ে আছি। ঘটনার পর তিন দিন পেরিয়ে গেছে, কিন্তু এখনও কোদাল, লাঠি ও খালি হাতে উদ্ধারকাজ চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

এভাবেই রাশি রাশি মাটি ও আবর্জনা সরিয়ে জীবিতদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন উদ্ধার প্রচেষ্টায় নিয়োজিতরা। এ পরিস্থিতির মধ্যেই কাছেই দুই স্থানীয় জাতিগোষ্ঠীর ভেতরে লড়াই চলছে।

নিরাপত্তাজনিত কারণে সেনা পাহারায় একটি বহরে থাকা উদ্ধারকারীদের দল তাদের ভারী যন্ত্রপাতিসহ প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে প্রাদেশিক রাজধানীতে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছে।

জাতিসংঘের সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসব লড়াইয়ে শনিবার আটজন নিহত হয়েছেন ও ৩০টি বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার ধোঁয়া উঠতে থাকা ওইসব বাড়ির পাশ দিয়ে ত্রাণবাহী একটি গাড়িবহর পার হয়েছে। এর আগে রোববার রাতে ঘটনাস্থলে প্রথম এঙকাভেটর পৌঁছতে সক্ষম হয়। তারপর থেকে মাত্র ছয়টি মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে এক জাতিসংঘ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাফায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত ৪৫
পরবর্তী নিবন্ধলোহাগাড়ায় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের আগুনে পুড়েছে ৩ দোকান