পানছড়ি সড়কে সীমাহীন ভোগান্তি

সমির মল্লিক, খাগড়াছড়ি | শনিবার , ৬ জুলাই, ২০২৪ at ৫:০৪ পূর্বাহ্ণ

দুই দফায় কাজের মেয়াদ বাড়ানোর পরও খাগড়াছড়ি পানছড়ি সড়কের সংষ্কার কাজ শেষ করতে পারেনি সড়ক ও জনপদ বিভাগ। সংস্কার না হওয়ায় তা চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পরেছে। দ্রুত সংস্কার না হলে ভারী বৃষ্টিতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সংষ্কার না হওয়ায় দুর্ভোগে পরেছে উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ।

খাগড়াছড়িপানছড়ি সড়কে প্রতিদিন চলাচল করছে ৭ শতাধিক পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহন। সড়কের অসংখ্য ছোট বড় গর্ত মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। বেশিরভাগ অংশ চলাচলের অনুপযোগী। কোথাও কোথাও সড়কের চিহ্নও নেই। পণ্যবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে সড়কের ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুণ। সড়কের বেহাল দশার কারণে ভোগান্তি পোহাচ্ছে উপজেলার লক্ষাধিক বাসিন্দা। আগে জেলা সদর থেকে পানছড়ি পৌছাতে আধা ঘন্টা সময় লাগলে রাস্তা ভাঙা হওয়ায় এখন লাগছে দেড় ঘন্টা।

স্থানীয় বাসিন্দা ফারুক হোসেন, চান মিয়া ও কোহেলি চাকমা জানান, সড়কটিতে এখন চলাচলের কোনো সুযোগ নেই। পুরো সাড়ে ১৫ কিলোমিটার সড়কের সাড়ে ১৪ কিলোমিটারই ভাঙা। মোটর সাইকেলও চালানোর মতো ব্যবস্থা নেই। একজন অসুস্থ রোগী নিয়ে গেলে রাস্তায় মারা যাবে। আধা ঘন্টা। দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছে স্থানীয়া বাসিন্দারা।

খাগড়াছড়িপানছড়ি ২৫ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের জন্য ২০২৩ সালে দরপত্র আহ্বান করে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। আবেদ মনসুর কন্সট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পেলেও তা বাস্তবায়ন করছে এমদাদ পাটোয়ারি নামে এক ব্যক্তি। তবে কয়েক মাস যাবত সড়ক বিভাগের কর্মকর্তাদের ফোনই ধরছে না ঐ ঠিকাদার। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না করলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলছে এই কর্মকর্তা।

খাগড়াছড়ির সড়ক বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. তৌহিদুল বারী বলেন, এর মধ্যে কিছুদূর কাজ হয়েছে। বর্তমানে কাজ বন্ধ আছে। আমরা ঠিকাদারকে একাধিকবার চিঠি দিয়েছি। এখন তার কাজ করতে না হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খাগড়াছড়িপানছড়ি সড়ক সংস্কারে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৩ কোটি টাকা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপোর্ট্রেটের ৩৫ পূর্তিতে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালা উদ্বোধন
পরবর্তী নিবন্ধমো. সোহেল