পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে পাঁচ দিনের সফরে আসা অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেত গ্রিন। গত রবিবার বিকালে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। এসময় পিএইচপি ফ্যামিলির পরিচালক জহিরুল ইসলাম রিংকু উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়ন ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতার নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের পর্যটন খাত অত্যন্ত উন্নত। আমাদের পর্যটন বিভাগের সাথে টেকনিক্যাল কো–অপারেশনের মাধ্যমে এ খাতে প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সহযোগিতার সম্ভাবনার কথা হয়েছে। বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য আমেরিকা–কানাডা–ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের ১৪০টি দেশে রপ্তানি হয় জানিয়ে ড. হাছান বলেন, তাদেরও তা আমদানির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তৈরি পোশাক, সিরামিকস, চামড়াজাত পণ্য এ দেশ থেকে আমদানির কথা আলোচনা করেছি। বাংলাদেশিদের জন্য তাদের দেশে ভিসা ফ্রি করলে আমরাও রিসিপ্রোসিটি ভিত্তিতে তাদের জন্যও একই ব্যবস্থা বিবেচনায় নিতে পারি।
অ্যান্টিগুয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্রিন জানান, যেসব বাংলাদেশি অ্যান্টিগুয়া সফর বা বিনিয়োগ করতে চায় তাদের সুবিধার জন্য বাংলাদেশে তারা একটি কনসুলেট খুলবে। একই সঙ্গে অ্যান্টিগুয়ান যারা বাংলাদেশ সফর বা বিনিয়োগ করতে চায়, তাদের জন্যও সহায়ক হবে। এন্টিগুয়া বাংলাদেশের সঙ্গে পর্যটন খাতে সহযোগিতা বাড়াতে চায় জানিয়ে তিনি বলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশিরা পর্যটন খাতে পড়াশোনা করতে পারে এবং এ জন্য তারা স্কলারশিপ দেবে। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে ভিসামুক্ত অ্যারেঞ্জমেন্টের প্রস্তাব করেছে অ্যান্টিগুয়া। অর্থাৎ দুই দেশ একে অপরকে অন অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা দেবে বলেও তিনি জানান।
মন্ত্রী গ্রিনের সঙ্গে এন্টিগা ও বারবুডার কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এবং দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা উইংয়ের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম, মন্ত্রীর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মীর আকরাম উদ্দীন আহম্মদসহ পদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠকে যোগ দেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।