ছোট স্পিডবোট; অতিরিক্ত যাত্রী, বহুগুণে ভাড়া বৃদ্ধি, তোয়াক্কা নেই স্বাস্থ্যবিধিযাত্রী পারাপার করেই চলেছে নিয়মিত। স্পিডবোট দুর্ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক! সমপ্রতি, পদ্মায় ডুবে যাওয়া স্পিডবোটে ৩২ জন যাত্রী থেকে ২৬ জনের মৃত্যু। খুবই বেদনাময়! আমাদের দেশে নৌদুর্ঘটনা সাধারণত অতিরিক্ত যাত্রী লোভী বেপরোয়া চালকদের কারণে ঘটছে। সম্প্রতি, পদ্মায় ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাও এর ব্যতিক্রম নয়। এর দায় নৌপথ কর্তৃপক্ষকে সমানভাবে নিতে হবে। স্পিডবোট নিয়ন্ত্রণে নেই কোনো কার্যকর ব্যবস্থা। বর্তমান কোভিড-১৯ স্বাস্থ্যবিধি তো মানছেই না। তদুপরি, কর্তৃপক্ষও পালন করছে নীরব ভূমিকা। ফলে হরহামেশা ঘটেই চলেছে দুর্ঘটনা, জন্ম দিয়েছে নানান প্রশ্ন। সরকার কর্তৃক ঘোষিত লকডাউন বিধিনিষেধে গণপরিবহনের পাশাপাশি নৌপথেও যান চলাচল বন্ধের নিষেধাজ্ঞা আছে। আইন অমান্য করার এই দায় যেমন লাইসেন্সবিহীন স্পিডবোটের অদক্ষ চালকদের; অনুরূপভাবে কর্তৃপক্ষও দায় এড়াতে পারে না। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্পিডবোট কীভাবে নদীপথে যাত্রী পারাপার করছে? সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। নদীপথ সুরক্ষায় অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই। সুতরাং, নিরাপদ নৌপথে নিশ্চিত করতে সম্মিলিত ও অর্থবহ ত্বরিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
মুহাম্মদ নুর রায়হান চৌধুরী
জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদরাসা, চট্টগ্রাম।