মনটাকে শক্ত করতে হবে। কারণ আবেগ দিয়ে কথা না বলে অল্পবাসী হয়ে বিবেক দিয়ে কাজ করতে হবে। অন্যথায়, সরলতাকে দুর্বলতা মনে করে একেবারে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী বানাতে দ্বিধাবোধ করবেনা। তাই দ্বি-পক্ষীয় কোন কাজ করতে গেলে খুব সাবধানে এগোতে হবে। কারণ, অর্থ বর্তমান যুগে কি বস্তুু তা মানুষের সাথে প্রয়োজনে একটু মেলামেশা করলেই অনুধাবন করা যায়। তাদের বোধগম্য হয় না প্রায় সব ক্ষেত্রে অর্থের একটা প্রভাব থাকলেও ঐ যে, কিছু ভালো লাগার মধ্যে শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতির মতো গঠনমূলক সৃষ্টিশীল কাজে সাধারণের নিকট পার্থিব কিছু প্রতিক্রিয়া আশা করা অতীব শ্রেয়। ঐ কিছু সংখ্যক সংস্কৃতি অনুরাগী ব্যক্তিদের পেটের ক্ষুধা মিটে যায়, যখন সে আবৃত্তি করে, নাটকের সংলাপ বলে, নাচ কিংবা গানে শ্রম ও মেধা খরচ করে সমস্ত বাহ্যিক চিন্তা এক পাশে রেখে আপন শিল্পকর্মে মশগুল থাকে, যা ধ্রুব সত্য। কারণ টাকা দিয়ে আপনি দামি বিছানা কিনতে পারবেন, কিন্তু ঘুম কিনতে পারবেন না। আপনি মস্তিষ্কের সহযোগিতায় কিছু নতুনত্ব আনার চেষ্টা করতে পারবেন, কিন্তু চিন্তাশক্তি এতটাই তলানীতে যে সৃজনশীল তথা গঠনমূলক কিছুই মাথায় আসবে না মাঝেমধ্যে। কারণ আপনার স্বাভাবিক মেধা নষ্ট করে দিয়েছে কিছু দুষ্ট চক্র। যারা আপনার পিছনে চুম্বকের মতো লেগে থাকে। তবে ভাববেন না, ওদেরকে ওদের কাজ করতে দেন। কারণ যারা আপনার পিছনে লেগে থাকে তারা সবসময় আপনার পিছনেই থাকবে। অদম্য সাহস নিয়ে তারা ইতিবাচক দুটো বাক্য সম্বোধন করতে পারবে না। নিজের কাজকে গুরুত্ব দিন, নিজের কাজকে ভালোবাসুন। তাহলে অন্যজনকেও ভালোবাসতে পারবেন এবং মূল্যায়ন করবেন।