দেশি-বিদেশি শতাধিক প্রজাতির ফুলের সমারোহ ডিসি পার্ক

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৯:০৮ পূর্বাহ্ণ

অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধার করে ১৯৪.১৩ একর জায়গার উপর গড়ে তোলা হয়েছে ডিসি পার্ক। ঢাকাচট্টগ্রাম মহাসড়ক ও ফৌজদারহাটবন্দর সংযোগ সড়কের একেবারে সন্নিকটের এই ডিসি পার্কে আগামীকাল শুক্রবার থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশেষ ফুল উৎসব। এ বিষয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ সম্মেলন করেন জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

সংবাদ সম্মেলনে ফুল উৎসব নিয়ে নানা কথা বলেন তিনি। জেলা প্রশাসক বলেন, আমাদের ফুল উৎসব নারীপুরুষ, শিশুকিশোর, যুববৃদ্ধ সব বয়সী ও শ্রেণির পেশার মানুষের চিত্ত বিনোদনের উদ্দেশ্যে সাজানো হয়েছে। দেশিবিদেশি শতাধিক প্রজাতির কয়েক লাখ ফুলের গাছ এখানে শোভা পাবে।

এছাড়াও চট্টগ্রামে প্রথমবারের মত নিজেদের রোপণ করা বাহারী টিউলিপ ফুল থাকবে দর্শনার্থীদের জন্য। নানান রঙের, নানান জাতের ফুলের পাশাপাশি এখানে কায়াকিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে, থাকবে সাম্পানের ব্যবস্থা।

শিশুদের জন্য কিডস জোন, থাকবে মুক্ত আকাশে ঘুড়ি উড়ানোর ব্যবস্থা। ফুল উৎসবকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে পার্কের অভ্যন্তরে থাকা বিশালাকৃতির দৃষ্টিনন্দন দুই দীঘির মাঝখানে নির্মাণ করা হয়েছে রাস্তা, দর্শনার্থীদের যাতায়াতের রাস্তাকে নতুন সাজে সাজানো হয়েছে, রংতুলির আচড়ে নতুন রূপ দেওয়া হয়েছে অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণকে। অনুষ্ঠানস্থলের পাশেই বিনামূল্যে পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও থাকবে।

তিনি আরো বলেন, সার্বিক নিরাপত্তার অংশ হিসেবে সম্পূর্ণ এলাকা সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক টিমও দায়িত্ব পালন করবে। তাৎক্ষণিক সেবা প্রদানের জন্য একটি মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিবন্ধী শিশুকিশোর ও এতিমদের ঘিরে থাকবে বিশেষ আয়োজন।

ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড এবং বয়োবৃদ্ধদের জন্যও থাকবে আমাদের বিশেষ ব্যবস্থা। অনুষ্ঠানটি সকলের জন্য বিনামূল্যে উন্মুক্ত থাকবে বলেও জানান তিনি। জেলা প্রশাসক বলেন, পাহাড় সমুদ্রে ঘেরা অনন্য অসাধারণ চট্টগ্রামকে ঘিরে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটাতে আমরা বদ্ধপরিকর।

একদিকে সমুদ্র, অন্যদিকে মেরিন ড্রাইভ ঘিরে সরকারের এই ১৯৪ একর জায়গাকে নিয়ে মহাপরিকল্পনার আওতায় নিয়ে এসে দেশবাসীকে আমরা একটি নান্দনিক আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট উপহার দিতে চাই।

সর্বোপরি, আমাদের এই আয়োজন চট্টগ্রামের মানুষকে মেধা, মনন ও সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে সহায়তা করবে বলে প্রত্যাশা করছি। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা এবং প্রধানমন্ত্রীর সুন্দর ও মানবিক বাংলাদেশের স্বপ্নের অগ্রযাত্রায় জেলা প্রশাসন সবসময়ের মতই দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান জেলা প্রশাসক। নির্দিষ্ট কয়েক দিনের জন্য এই ডিসি পার্ক নয় উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, প্রতি বছর শীতকালে এই পার্কে ফুল উৎসবের আয়োজন করা হবে। এছাড়া বছরজুড়ে দর্শনার্থীতে মুখর থাকবে এই পার্ক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনগরীর প্রতিষ্ঠান ও যানবাহনের নামফলক ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাংলায় করার দাবি
পরবর্তী নিবন্ধআবারো মুক্তি পাচ্ছে সালমান শাবনূরের ‘তুমি আমার’