স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিতে ইউসেপ, বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কারিগরি শিক্ষা ও শোভন কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইউসেপ নামক কর্মজীবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন। গতকাল বুধবার রাজধানীর শাহবাগস্থ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেসা মুজিব কনভেনশন হলে ইউসেপের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি। ইউসেপ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. মো. আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, নির্বাহী পরিচালক ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব ড. মো. আব্দুল করিম। ইউসেপ বোর্ড অফ গভর্নরসের সাবেক চেয়ারম্যান পারভীন মাহমুদ, ইউসেপ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য জেবা রশীদ চৌধুরী, এফবিসিসিআই’র সভাপতি মাহবুবুল আলম, সম্মানিত অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশে কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকলস। খবর বাসসের।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের উন্নয়ন, সুরক্ষা ও বিকাশের পাশাপাশি মানব সম্পদ উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন। যুব সমাজকে কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানে উদ্বুদ্ধ করে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডকে কাজে লাগাতে হবে।
স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হয়েছে। তিনি বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও সমান সুযোগ প্রদান করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে তরুণ প্রজন্ম নিজেদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্য নিয়ে ইউসেপ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অসচ্ছল পরিবারের সুবিধা বঞ্চিত শিশুরা আজ কর্মসংস্থানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন– এটাই ইউসেপের সফলতা। এসময় স্পিকার ইউসেপ–এর শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সমপ্রসারণে সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং ইউসেপের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।