ট্রাম্পের নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কোপে পড়ছে আফগানিস্তান,পাকিস্তান

| শুক্রবার , ৭ মার্চ, ২০২৫ at ১০:৪২ পূর্বাহ্ণ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প নতুন যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করতে যাচ্ছেন তাতে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের নাগরিকরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধার সম্মুখীন হতে পারেন। নিরাপত্তা ঝুঁকি পর্যালোচনা ও যাচাইবাছাই শেষে আগামী সপ্তাহেই নতুন এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলে বিষয়টি সম্বন্ধে অবগত তিনটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এই তালিকায় আরও দেশ থাকতে পারে, তবে সেগুলো ঠিক কোন কোন অঞ্চলের তা বলতে পারেনি নাম প্রকাশে রাজি না হওয়া সূত্রগুলো।

রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদেই ৭টি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন, তার ওই পদক্ষেপ নানান আইনি জটিলতা পার করে শেষ পর্যন্ত ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের সায় পেয়েছিল। জো বাইডেন ক্ষমতায় এসে ২০২১ সালে ওই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন। ট্রাম্পের পদক্ষেপকে সেসময় তিনি আমাদের জাতীর বিবেকে কলঙ্কের দাগ বলেও অ্যাখ্যা দিয়েছিলেন। খবর বিডিনিউজের।

ট্রাম্পের নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় আফগানিস্তান থাকলে তা শরণার্থী হিসেবে কিংবা বিশেষ অভিবাসন ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা লাখো আফগানের জন্য চরম দুঃসংবাদ হিসেবে হাজির হবে। আফগানিস্তানে ২০ বছর ধরে চলা যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করা এই আফগানদের ওপর তালেবান প্রতিশোধস্পৃহা চরিতার্থ করতে পারে, এমন আশঙ্কাও রয়েছে।

এ বছরের ২০ জানুয়ারি শপথ নিয়েই ট্রাম্প জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি শনাক্তে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেন। এতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আগ্রহী সব বিদেশির ব্যাপারে বিস্তৃত যাচাইবাছাই চালাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই আদেশে ঝুঁকি বিবেচনায় কোন কোন দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আংশিক বা সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যায় ১২ মার্চের মধ্যে তার তালিকা দিতে মন্ত্রিসভার কিছু সদস্যকে বলা হয়েছিল। এর মধ্যে আফগানিস্তানের নাগরিকরা সম্পূর্ণ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় পড়তে যাচ্ছেন বলে বিষয়টি সম্বন্ধে অবগত তিনটি সূত্রের পাশাপাশি নাম প্রকাশে রাজি না হওয়া আরেকজনও নিশ্চিত করেছেন, জানিয়েছে রয়টার্স। পাকিস্তানও এ তালিকায় থাকতে পারে, বলেছে সূত্র তিনটি।

আফগানিস্তান থেকে বিশেষ অভিবাসন ভিসায় যাদেরকে যুক্তরাষ্ট্রে সরিয়ে আনার পরিকল্পনা ছিল, তাদেরকে এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই সংক্রান্ত দপ্তর কোঅর্ডিনেটর ফর দ্য আফগান রিলোকেশন এফোর্ট অনুরোধ করেছিল। কিন্তু তাদের সেই অনুরোধ সম্ভবত রাখা হবে না, বলেছে সূত্রগুলো।

কোঅর্ডিনেটর ফর দ্য আফগান রিলোকেশন এফোর্ট বন্ধে ট্রাম্প প্রশাসন দপ্তরটিকে এপ্রিলের মধ্যে পরিকল্পনা দিতে বলেছিল বলে গত মাসেই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল রয়টার্স। ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এ বিষয়টি তদারকির দায়িত্বে থাকা মার্কিন পররাষ্ট্র, আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালকের কার্যালয় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅপূর্ব-ফারিণের ‘হাউ সুইট’ ঈদে
পরবর্তী নিবন্ধজেলেনস্কির প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে গোপন আলোচনায় ট্রাম্পের সহযোগীরা