টেকনাফে ৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকার ইয়াবা উদ্ধার

দুই ঘটনায় গুলি বিনিময়ের পর আটক ৪

টেকনাফ প্রতিনিধি | শুক্রবার , ২৮ জানুয়ারি, ২০২২ at ৭:৪৮ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের টেকনাফে পৃথক অভিযানে ৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকার ইয়াবাসহ চার মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে র‌্যাবের গুলিবিনিময় হয়। আটককৃতদের মধ্যে দুজন মিয়ানমারের নাগরিক রয়েছেন। এ সময় তাদের ব্যবহৃত একটি ট্রলার জব্দ করা হয়।

আটককৃতরা হলেন মিয়ানমারের নাগরিক নেম ইউ চ (৩৬), মন্দ্রাছের ছেওয়াচি (৩৮), টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের শীর্ষ মানব পাচারকারী ও ইয়াবা ব্যবসায়ী মো. রবিউল ইসলামের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪২) ও সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপের মৃত কালু মিয়ার ছেলে মো. হাফেজ আহমেদ (৪০)

২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, মিয়ানমার হতে চার মাদক ব্যবসায়ী একটি ট্রলার নিয়ে বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশের সময় মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) ৩টি স্পীড বোট দিয়ে ধাওয়া করে। এ সময় ট্রলারটি নাফ নদীর জিন্নাহ খাল নামক স্থানে বালুচরের উপরে আটকা পড়ে। পরবর্তীতে ট্রলারে অবস্থানরত আটক ৪ ব্যবসায়ী পালিয়ে যাওয়ার সময় বিজিবির টহলদল তাদেরকে আটক করতে সক্ষম হয়। তাদের জবানবন্দি সন্দেহজনক হওয়ায় ট্রলারটিকে টেকনাফ জেটিঘাটে এনে তল্লাশীকালে ট্রলারের ইঞ্জিনের নীচ হতে অভিনব পদ্ধতিতে লুকানো অবস্থায় একটি বস্তা উদ্ধার করা হয়। এ বস্তার ভেতর থেকে ৭৮ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।

এছাড়া বুধবার রাতে খারাংখালী এলাকায় সন্দেহভাজন ৫৬ জন ব্যক্তিকে একটি কাঠের নৌকায় মিয়ানমারের মুদদ্বীপ থেকে নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসতে দেখে বিজিবি। নৌকাটি শূন্যরেখা অতিক্রম করে নাফ নদীর তীরে এলে ২৩ জন লোক বেড়িবাঁধ দিয়ে নৌকাটির কাছে যায়। তারা নৌকাটির কাছে গেলে নৌকা হতে মাদকের চালান তাদেরকে হস্তান্তর করার সময় বিজিবির টহলদল তৎক্ষণাত তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে। বিজিবির চ্যালেঞ্জকে উপেক্ষা করে মাদক ব্যবসায়ীরা বিজিবির টহলকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। এসব আত্মরক্ষার্থে বিজিবির টহলও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। এতে মাদক ব্যবসায়ীরা নৌকা হতে লাফিয়ে নাফ নদী দিয়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে তল্লাশী করে নদীর তীরে ২টি বস্তা উদ্ধার ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা মূল্যের ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়াবা জব্দ করতে সক্ষম হয়।

তিনি আরো জানান, অবৈধ মাদক বহন এবং পাচারের দায়ে অজ্ঞাত দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিএনপিকে পাই পাই হিসাব দিতে হবে : শেখ হাসিনা
পরবর্তী নিবন্ধছেড়ে গেছে প্রথম বউ পালিয়েছে দ্বিতীয়টা দুঃখে গায়ে আগুন স্বামীর!