টেকনাফ নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্প হতে গ্রুপ প্রধান নুরুন নবীসহ তিন সন্ত্রাসীকে আটক করেছে কক্সবাজার ১৬ এপিবিএন সদস্যরা।
এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় চারশ’ পিস ইয়াবা ও তিনটি রাম দা।
গতকাল শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৫টার সময় নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প হতে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প-৯ ব্লক-বি/৯ এর হামিদ হোসেনের ছেলে মুন্না গ্রুপের সদস্য সৈয়দুল আমিন (২৫), কুতুপালং রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপের মুন্নার চাচা টেকনাফ শালবাগান ক্যাম্পের (ব্লক-এফ/৫) আব্দুস সালামের ছেলে কবির মাঝি (৫২) ও নয়া পাড়া রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের (ব্লক-ই, শেড-৯৭৪, এমআরসি-০০৩১০) সন্ত্রাসী গ্রুপ প্রধান সামচুল আলমের ছেলে নুরুন নবী (২৯)।
কক্সবাজার ১৬ এপিবিএন অধিনায়ক এসপি মো. হেমায়েতুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৬ এপিবিএন নয়াপাড়া পুলিশ ক্যাম্প পুলিশ পরিদর্শক নিরস্ত্র রকিবুল ইসলামের নেতৃত্বে এসআই মাহবুব হোসেন ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান পরিচালনা করে মুন্না গ্রুপের সদস্য সৈয়দুল আমিন, কবির মাঝি ও নুরুন নবীকে চারশ’ পিস ইয়াবা ও তিনটি দেশীয় তৈরি রামদা/কিরিচ সহ গ্রেফতার করা হয়।
এরমধ্যে আসামী নুরুন্নবী উখিয়া থানায় অস্ত্র সহ গ্রেফতার হয়েছিল। কিছুদিন পূর্বে জামিনে বের হয় সে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রুজু আছে।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উখিয়ার কুতুপালং মুন্না গ্রুপের সদস্য সৈয়দুল আমিন কিছুদিন আগে বাংলাদেশী সেনাবাহিনীর আদলে পোষাক পরে অস্ত্র হাতে বিভিন্ন ভঙ্গিতে ছবি উঠিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
পরে সে সেখান হতে পালিয়ে নিকটাত্মীয় টেকনাফ শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি কবিরের বাড়িতে গোপনে অবস্থান করছিল। তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে আসলে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে দাবি করেছেন সাধারণ রোহিঙ্গারা।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান আটক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানান।
