টেকনাফে রোহিঙ্গা কিশোরকে অপহরণ, অস্ত্রসহ আটক ৩

কক্সবাজার প্রতিনিধি | সোমবার , ১৬ জুন, ২০২৫ at ৮:২১ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের টেকনাফে র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণের ৭২ ঘণ্টা পর অপহৃত রোহিঙ্গা মো. হাফিজ উল্লাহকে উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী। এর আগে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে ২০১৯ সালে বহিষ্কৃত সৈনিক মো. সুমন মুন্সীসহ তিনজনকে আটক করেছে র‌্যাব। উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্রও। গতকাল রোববার বিকেলে র‌্যাব১৫ এর সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) সহকারী পুলিশ সুপার আ. . ফারুক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

আটকদের মধ্যে সুমন মুন্সী গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি উপজেলার রাজপাট ইউনিয়েনর ডুমরাকান্দি গ্রামের আকবর আলী মুন্সির ছেলে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১১টি মামলা রয়েছে এবং ২০১৯ সালে চাকরিচ্যুত সেনা সদস্য বলে জানানো হয়েছে। গত ১১ জুন রাত ১১টায় ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে মো. রহিমুল্লাহর ছেলে মো. হাফিজ উল্লাহকে র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণ করে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। রোহিঙ্গা এনায়েত উল্লাহ ও নবী হোসেনের সহয়তায় ভিকটিমকে নিজ বসতঘর থেকে ডেকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী গহীন পাহাড়ে নিয়ে যায় চক্রটি। পরে অপহৃতের পরিবারের কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ চান অপহরণকারীরা। এই খবর পেয়ে র‌্যাব১৫ ভিকটিমের পরিবারের সাথে যোগাযোগের পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার বিকালে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাবের একটি চৌকসদল রঙ্গিখালীতে অপহরণের অন্যতম প্রধান হোতা ডাকাত সর্দার শাহ আলমের বাড়িতে হানা দিয়ে আফ্রিদি ও আব্দুল গফুর নামে দুজন সন্দেহভাজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। এরপর শনিবার বিকেলে উখিয়ার মরিচ্যা বাজার থেকে বরখাস্ত সৈনিক মো. সুমন মুন্সিকে আটক করে। পরে সুমনের মাধ্যমে অপহরণকারী ডাকাত শাহ আলম, সন্ত্রাসী রাকিব এবং সন্ত্রাসী শিকদারকে ভিকটিম হাফিজ উল্লাহকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বার্তা পাঠানো হয়। আহ্বানে সাড়া দেয়নি চক্রটি। এরই প্রেক্ষিতে ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য গতকাল রোববার র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ, এপিবিএন ও বনবিভাগের ২৫৬ জন জনবল নিয়ে ভিকটিমকে আটকে রাখার সম্ভাব্য গহীন অরণ্যে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে। এক পর্যায়ে অপহরণের ৭২ ঘণ্টা পরে ভিকটিম হাফিজ উল্লাহকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে ১টি দেশীয় অস্ত্র, ৩ রাউন্ড এ্যমুনেশনসহ র‌্যাবের ইউনিফর্ম ও ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া সম্পাদনের জন্য টেকনাফ থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করে মামলা রুজু করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনগরীর সড়কে পঙ্খিরাজ
পরবর্তী নিবন্ধড্রোন নির্মাতা আশিরকে দেখতে আজ বাঁশখালী যাচ্ছেন রিজভী