বাংলাদেশের দক্ষিণ–পূর্ব উপকূলে জেলিফিশের বৈচিত্র্য, কোন কোন স্থানে এবং কোন কোন সময়ে বিচরণ করে এবং জেলিফিশ ব্লুমে প্রাইমারি প্রোডাকটিভিটির প্রভাব, জেলিফিশে মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণের মাত্রা নিরূপণ, ফুড ইন্ডাস্ট্রি, ফার্মাসিটিক্যাল ও বায়োমেডিক্যাল শিল্পে জেলিফিশের অবদান নিয়ে এবছর বিওআরআই–এর ৬ জন গবেষক নিবিড়ভাবে গবেষণা করছেন। সুনীল অর্থনীতিকে গতিশীল করার জন্য জেলিফিশ নিয়ে আরো বড় পরিসরে গবেষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. তৌহিদা রশিদ।
বিশ্ব জেলিফিশ দিবস উপলক্ষে গতকাল ৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বিওআরআই) আয়োজিত ‘সুনীল অর্থনীতিতে জেলিফিশের অবদান : বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
প্রতিষ্ঠানটির বায়োলজিক্যাল ওশানোগ্রাফি বিভাগের সিনিয়র সাইয়েন্টিফিক অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মোট তিনটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিনিয়র সাইয়েন্টিফিক অফিসার আবু সাঈদ মুহাম্মদ শরীফ। এছাড়া বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শিমুল ভূঁইয়া ও সৌমিত্র চৌধুরী বিশেষ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। প্রবন্ধসমূহে সুনীল অর্থনীতিতে জেলিফিশের গুরুত্ব এবং সম্যক অবদান, গতবছরে ঘটে যাওয়া ৩ ও ৪ আগস্ট জেলিফিশ ব্লুম নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম ও তার ফলাফল এবং চলমান অর্থবছরে জেলিফিশ নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম ও ভবিষ্যতে জেলিফিশ গবেষণা নিয়ে বিওআরআই–এর পরিকল্পনা এবং সুনীল অর্থনীতিতে এই প্রাণিটির বিশেষ অবদান নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়।












