বর্তমানে আত্মহত্যার প্রবণতা বরং দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিনিয়ত আমাদের চারপাশে মানুষের মাঝে মূল্যবোধ আর নৈতিক শিক্ষার অভাবে বেশিরভাগ মানুষ ক্রমে হতাশার সাগরে ডুবে জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণ হচ্ছে। অনেক চাকচিক্য আর ভালো থাকা মানুষগুলোই হুট করে নিজেকে পৃথিবী থেকে সবার অগোচরে সরিয়ে ফেলছে। এই যে হাসিমাখা মুখগুলো আমরা হারিয়ে ফেলছি, যারা অভিমান নিয়ে পৃথিবী ছাড়ছে আমরা জানতেও পারিনা তার আসল কারণ কী। তাদের মনের অবস্থা আর মানসিক অবস্থা কেমন ছিল। তাই আত্মহত্যা প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে নিজেদের চারপাশ নিয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। সমাজে নৈতিক শিক্ষা আর সুস্থ মানবিক মূল্যবোধের প্রয়োজনীয়তা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে নিজেদের সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করে মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি নজর বাড়াতে হবে। বাঙালি পরিবারগুলোতে ছোট বেলা থেকে ছেলেমেয়েদের যেভাবে বড় করে, বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে যেভাবে বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়, অনেক সময় সেটি খুবই অমানবিক। তাই পরিবার থেকেই প্রথমে পজিটিভ পরিবর্তন হওয়া উচিত। ছোটবেলা থেকেই বাচ্চাদের শিখানো উচিত নিজের উপর নির্ভরশীল হওয়া, নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া আর নিজেকে ভালোবেসে জীবনে এগিয়ে নেওয়া। আমাদের সর্ব প্রথমে নিজের প্রতি বিশ্বাস জন্মানোটা দরকার। এই আত্মবিশ্বাস আর নিজেদের প্রতি ভালোবাসার জন্ম নিলেই দেখবো জীবনটা অসাধারণ সুন্দর। এই অনুভূতি যার মাঝে থাকবে সে হয়ত আত্মহত্যার কথা চিন্তাও করতে পারবে না বরং বারান্দায় বৃষ্টি দেখতে দেখতে ধোঁয়া ওঠা চায়ের চুমুকে আত্মতৃপ্তি থেকেই বলবে মানুষ মরণশীল কেন?