জাতিসংঘের রিপোর্টকে ঐতিহাসিক দলিল ঘোষণায় হাইকোর্টের রুল

জুলাই গণঅভ্যুত্থান

| বৃহস্পতিবার , ১৫ মে, ২০২৫ at ৮:৪৬ পূর্বাহ্ণ

জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থান কেন্দ্রীক জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্টিকে কেন ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সেই সাথে রুলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জাতিসংঘের এই রিপোর্টকে কেন সংরক্ষণের নির্দেশ দেয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

এ সংক্রান্ত এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল এ আদেশ দেয়। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী তানভীর আহমেদ। খবর বাসসের।

গণহত্যাকারী ও স্বৈরশাসককে টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে গত বছরের ১৩ আগস্ট হাইকোর্টে এক রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ। আদেশের পর আইনজীবী তানভীর আহমেদ জানান, দোষীদের বিচার নিয়ে আগস্টে রিট করি। তখন রুল ইস্যু করেন। সে অনুযায়ী সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। ট্রাইব্যুনালকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আইন সংশোধন করা হয়েছে। তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন টিম কাজ করছে। এর মধ্যে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। রিপোর্টে ১৪০০ মানুষকে খুন করার কথা বলা হয়েছে। তখনকার রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, কীভাবে সহিংসতা চালানো হয়েছে, বিচার ব্যবস্থা কেমন ছিলঅর্থাৎ একটি যথাযথ পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট।

তিনি বলেন, আমাদের দৃষ্টিতে তিনটি উদ্দেশ্যে এটিকে সংরক্ষণ করা উচিত। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জানার জন্য, কী ঘটনা ঘটেছিল। এভিডেন্স হিসেবে সংরক্ষণ করার জন্য। যদিও ইতোমধ্যে ট্রাইব্যুনাল এটাকে নিয়েছে বলে জেনেছি। ভবিষ্যতে রিসার্চের উদ্দেশ্যে অন্য দেশে ব্যবহার করা। এ জন্য কোর্ট অব রেকর্ড হিসেবে হাইকোর্টে রিপোর্টসহ আবেদন দাখিল করেছি। আদালত রুল জারি করে আদেশ দিয়েছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘পরিবহন, হকারসহ শ্রমিক সেক্টরে চাঁদাবাজি বন্ধে পদক্ষেপ নিন’
পরবর্তী নিবন্ধসত্যিকারের মানুষ রূপে গড়ে তোলাই শিক্ষার মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত