চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে খালাসের রায় বহাল

| মঙ্গলবার , ৪ মার্চ, ২০২৫ at ১০:৫৫ পূর্বাহ্ণ

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো: আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চ গতকাল সোমবার এই আদেশ দেন।

গতকালের এই আদেশের ফলে চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া ও অপর দুজনকে হাইকোর্টের দেয়া খালাসের রায়ই বহাল রইলো বলে জানান তার আইনজীবীরা। আদালতে গতকাল দুদকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী আসিফ হোসাইন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক। বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী আমিনুল ইসলাম, ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল। খবর বাসসের।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড আরোপ করা হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে একই বছরের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। একপর্যায়ে গত ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৬ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ড মওকুফ করে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়। তবে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে করা আপিল শুনানির উদ্যোগ নেন তার আইনজীবীরা। একপর্যায়ে এই মামলার আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) তৈরির অনুমতি চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। এরপর শুনানি শেষে গত ২৭ নভেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ খালেদা জিয়া ও অপর দুজনের করা পৃথক আপিল মঞ্জুর করে বিচারিক আদালতের দণ্ড বাতিল করে খালাসের রায় দেন। বেগম খালেদা জিয়ার পাশাপাশি খালাস পাওয়া অপর দুজন হলেন হারিস চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম ও সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান

পূর্ববর্তী নিবন্ধখলিফাপট্টিতে দিন-রাত সেলাই মেশিনের শব্দ
পরবর্তী নিবন্ধনির্বাচনে যত দেরি, ক্ষতি তত বেশি : খসরু