চবির সেই শিক্ষককে একাডেমিক কাজ থেকে অব্যাহতি

যৌন হয়রানির অভিযোগ বহিষ্কার চায় শিক্ষার্থীরা

চবি প্রতিনিধি | শুক্রবার , ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৫:৩৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) রসায়ন বিভাগের এক ছাত্রীকে ল্যাবে কাজ করা অবস্থায় যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার চেয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা ওই শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানান। ইতোমধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষককে সকল একাডেমিক কাজ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগটির সভাপতি প্রফেসর ড. দেবাশিষ পালিত। তিনি বলেন, বিভাগীয় জরুরি একাডেমিক কমিটির সভায় তদন্ত চলাকালীন সকল একাডেমিক কাজ থেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। এর আগে আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে ও নিজ বিভাগ চত্বরেও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এসময় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচারের দাবিতে নানা স্লোগান দিতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। এছাড়া শিক্ষার্থীদের হাতে, Raise your against sexual harassment; যৌন নিপীড়কের স্থায়ী বহিষ্কার চাই; অস্থায়ী শাস্তি আর নয়, স্থায়ী সমাধান চাই; বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হেনস্তাকারী কেন, প্রশাসন জবাব চাই; আমার বোন লাঞ্ছিত কেন, প্রশাসন জবাব চাই; ইত্যাদি লিখা সংশ্লিষ্ট পোস্টার দেখা যায়। আন্দোলনকারী রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক থিসিস ল্যাবে আমাদের বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এটি আজকেই প্রথম না। আমাদের কাছে প্রমাণ আছে তিনি আগের সিনিয়র আপুদেরকেও এভাবে হেনস্তার চেষ্টা করেছেন। আমরা এখন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। আমাদের দাবি এই শিক্ষককে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে। যদি আমাদের দাবি পূরণ না হয় তাহলে আরও কঠোর কর্মসূচির দিকে যাবো।

এ বিষয়ে রসায়ন বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. দেবাশিষ পালিত বলেন, ‘আমরা আজ (বৃহস্পতিবার) সাড়ে এগারোটায় একাডেমিক কমিটির সকল শিক্ষক মিলে আলোচনায় বসেছি। যতদিন পর্যন্ত তদন্তের কাজ শেষ না হয় আমরা অভিযুক্ত শিক্ষককে সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ মূল সিদ্ধান্ত উপাচার্য নিবেন বলে জানান তিনি। অভিযোগের সত্যতার ব্যাপারে তিনি বলেন, এটা আমরা শুনেছি; তবে তদন্ত করা ছাড়া সত্যতার ব্যাপারটা বলা যাচ্ছে না।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার দুপুরে উপাচার্য শিরীণ আখতারের বরাবর রসায়ন বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ করেন এক শিক্ষার্থী। তবে অভিযুক্ত অধ্যাপক অভিযোগটি সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের হেলিকপ্টার মহড়া, সতর্ক বিজিবি
পরবর্তী নিবন্ধইয়াবা নিয়ে বিমানে উঠার আগে ধরা