বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমারের ওপার থেকে ফের গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘুমধুম বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় হলেও এটি কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পাশের এলাকা। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার পর থেকে রাত ২টা পর্যন্ত থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শোনার কথা জানিয়েছেন ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. হেলাল।
মিয়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন ঘুমধুমের তুমব্রু বাজার এলাকার মোস্তাকিম আজিজ বলেন, রাত সাড়ে ৯টায় হঠাৎ মুহুর্মুহু গুলির শব্দ শুনতে পেয়ে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। রাত ২টার দিকে বিকট শব্দও শুনেছেন তারা। সেটি মর্টার শেলের শব্দ হতে পারে বলে তাদের ধারণা। খবর বিডিনিউজের।
স্থানীয়রা বলেন, সীমান্তের অপর প্রান্তে যেখানে গোলাগুলির শব্দ হচ্ছে সেখানে রাখাইনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মির দুটি ক্যাম্প রয়েছে। ‘রাইট’ ও ‘লেফট’ ক্যাম্প নামে পরিচিত ক্যাম্পগুলো ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে জান্তার কাছ থেকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল আরাকান আর্মি। ক্যাম্পগুলোর মাঝামাঝি স্থান নারিকেল বাগিচায় গত ১০ আগস্ট রাতেও গোলাগুলির শব্দ পেয়েছিলেন স্থানীয়রা।
তুমব্রু বাজারের আরেক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শফি বলেন, প্রায় দশদিন পর ফের গোলাগুলি হচ্ছে একই জায়গায়। একসাথে ৩০ থেকে ৪০ রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন শফি। এমন পরিস্থিতিতে পরিবার নিয়ে আতঙ্কে থাকার কথা জানান এই ব্যবসায়ী। সীমান্তের এই এলাকাটি ৩৪ বিজিবির আওয়াতাধীন। তাদের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া মেলেনি।