বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে অনেক কথায় বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। কখনো এবছরের ডিসেম্বর আবার কখনো আগামী বছরের জুন মাসে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রধান উপদেষ্টার বেঁধে দেয়া সময়মত আগামী বছরের জুনমাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত রয়েছে। তবে কোনো অজুহাতেই জুন থেকে সরে যাওয়া যাবে না। আপনি বেঁধে দেয়া সময়ে ঠিক থাকেন, এটিই জামায়াতে ইসলামী দেখতে চায়। তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য জামায়াতে ইসলামী ৩টি শর্ত দিয়েছে। প্রথমটা হলো নির্বাচনী ভোট পদ্ধতি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হতে হবে, দ্বিতীয় হলো নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, জুডিশিয়াল, নির্বাচন কমিশন, পুলিশ প্রশাসনসহ রাষ্ট্রের ছয়টি অর্গান সংস্কার করে প্রশাসনকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতে হবে, তৃতীয় হলো ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের হত্যাকারী ফ্যাসিবাদী হাসিনাসহ জড়িতদের গ্রেপ্তার করে তাদের বিচারকে নির্বাচনের আগেই দৃশ্যমান করতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, স্বচ্ছ গণতন্ত্রের পথ ধরে জামায়াতে ইসলামী যদি তিনশ’ আসনের অর্ধেকে সৎ, যোগ্য আল্লাহ–ভীরু মানুষদের নির্বাচিত করে সংসদে পাঠাতে পারি, তাহলে আইন পরিবর্তন করে সাংবিধানিক কাঠামো পরিবর্তন করে নতুন বাংলাদেশ আমরা নির্মাণ করতে পারবো।
গতকাল শনিবার বিকেলে বান্দরবানের ঐতিহাসিক রাজারমাঠে প্রথমবারের মত আয়োজিত জামায়াতে ইসলামী কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশেষ অতিথি জামায়াতে চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ঐতিহাসিক রাজারমাঠে এ প্রথমবার সমাবেশ করছে জামায়াতে ইসলামী। পাহাড়িদের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর কোনো বিরোধ নেই। জামায়াতের কোনো নেতাকর্মী পাহাড়িদের ভূমি দখল করেনি, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি। পাহাড়িদের জায়গা জমি দখল করেছে বিগত সতের বছর ক্ষমতায় থাকা ফ্যাসিবাদ। জেলা জামায়াতের আমীর এস এম আবদুচ ছালাম আজাদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান, কঙবাজার জেলা আমীর অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারী, দক্ষিণ জেলা আমীর আনোয়ারুল আলম চৌদুরী, খাগড়াছড়ি জেলা আমীর আধ্যাপক সৈয়দ আবদুল মোমেন, রাঙামটি জেলা আমীর অধ্যাপক আবদুল আলীম, উত্তর জেলা আমীর আলাউদ্দিন সিকদার, বান্দরবান জেলা নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট আবুল কালাম, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল আওয়াল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা।
