চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার হাজতখানায় আরমান আলী (২১) নামে এক যুবক টয়লেটে পরিচ্ছন্নকর্মীর রেখে যাওয়া হারপিক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে খবর পাওয়া গেছে।
১৪ মে (মঙ্গলবার) দুপুরে উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন পরিষদে কর্ণফুলী থানার অস্থায়ী ভাড়া ভবনের ‘নারী হাজত খানা’য় এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির হোসেন। আত্মহত্যা চেষ্টাকারী আসামি আরমান আলী কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা (৩ নম্বর ওয়ার্ড) মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, হালিশহর বি ব্লক এলাকার নাসরিন আক্তার (২৩) পেশায় তিনি একজন এক্সিকিউটিভ অফিসার। বর্তমানে কর্মরত কর্ণফুলীর ইউনিটেক ইলেকট্রিক্যাল ইলেকট্রনিক্স ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামক কোম্পানিতে।
ভিকটিম নাসরিনের দাবি তাঁর কর্মস্থল ফ্যাক্টরির পূর্বের শ্রমিক ছিলেন আরমান আলি। দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্নভাবে ভিকটিম নাসরিনকে যৌন নিপীড়ন করে আসছে। আটক আরমানের দাবি দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ভিকটিম জানান, তাঁর বাসা হালিশহর থেকে বের হয়ে কর্ণফুলী থানাধীন ফ্যাক্টরিতে আসার পথে খুব বিরক্ত করে আসছে আরমান।
আজ সকাল ১০ টার সময় কর্ণফুলী থানাধীন আক্তারুজ্জামান চত্বরে নাসিরন ও আরমান দুজনেই একে অপরের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হন। জনসম্মুখে এসব দেখে স্থানীয় লোকজন তাঁদের আটক করে থানায় দেন।
স্থানীয়দের এমন অভিযোগ পেয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ডিউটি অফিসার আরমানকে মহিলা হাজতে রাখেন।
কিন্তু আরমান ডিউটি অফিসারের অজান্তেই হাজতে থাকা অবস্থায় টয়লেটে পরিচ্ছন্নকর্মীর রেখে যাওয়া হারপিক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
এ প্রসঙ্গে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির হোসেন বলেন, ‘থানা হাজতে থাকা আসামি আরমান নামক এক যুবক টয়লেটে থাকা হারপিক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে বমি করলে তাৎক্ষণিক আমরা তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। বর্তমানে চমেকের ১৩ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।’
