কক্সবাজারে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৭ ডাকাত গ্রেপ্তার

অস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার

কক্সবাজার প্রতিনিধি | শনিবার , ২০ জানুয়ারি, ২০২৪ at ১০:২৬ পূর্বাহ্ণ

পর্যটক ও স্থানীয় কেউ তাঁদের কবল থেকে রক্ষা পেত না। বাদ যায়নি ফিশিং ট্রলারও। স্থল ও জলে তাদের দাপট। অবশেষে র‌্যাবের জালে ধরা পড়েছে সেই ৭ ডাকাত। এসময় তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দেশীয় অস্ত্র ও ৯ রাউন্ড কার্তুজ।

১৮ জানুয়ারি কঙবাজার সৈকতের নাজিরারটেক চরপাড়া এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। র‌্যাব১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) মো. আবু সালাম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

র‌্যাব জানায়, কক্সবাজার পৌরসভার ০১নং ওয়ার্ডের নাজিরারটেক চরপাড়া এলাকায় বালুরচরের মধ্যে একটি ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ সমবেত হয়ে ডাকাতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। খবর পেয়ে র‌্যাবের একটি বিশেষ টিম অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ডাকাত চক্রটি র‌্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তাদের ধাওয়া করে চক্রের ৭ ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে দুইজন সদস্য কৌশলে পালিয়ে যায়। ডাকাত চক্রের হেফাজত হতে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১টি এক নলা বন্দুক, ২টি এলজি, ৯টি তাজা কার্তুজ, ২টি ধামা, ১টি রাম দা, ৪টি বাটন ও ১টি স্মার্ট ফোন উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত হলোমহেশখালীর কুতুবজুম সোনাদিয়ার নুরু মিয়ার পুত্র সৈয়দুল করিম (৩০), কুতুবদিয়া কৈয়ারবিল ইউনিয়নের বড়ঘোপের আলমের পুত্র দেলোয়ার (২২), কুতুবদিয়া বড়ঘোপের মাতবর পাড়ার মৃত ইউসুফ আলীর পুত্র পারভেজ আলম (২৪), মহেশখালী ধলঘাটা বেগুন বুনিয়ার আকতার হোসাইনের পুত্র রুহুল কাদের (২২), শহরের ঘোনার পাড়ার মৃত নুরুল হকের পুত্র মো. আবদুল মাবুদ (২৭), মহেশখালীর সোনাদিয়ার নবীর হোসেনের পুত্র মো. সাগর (২২) ও মহেশখালী ধলঘাটা বেগুন বুনিয়ার মৃত হাজী আবু তাহেরের পুত্র হাফেজ এছাম উদ্দিন প্রকাশ হাফেজ আব্দুল্লাহ (১৯)

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চক্রটি কঙবাজারের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে কঙবাজার পৌরসভার নাজিরারটেকের বালুর চরে একত্রিত হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সাগরের মাছ ধরা ট্রলারের মাছ এবং জাল ডাকাতি করে থাকে বলে স্বীকার করে। এছাড়াও তারা কঙবাজারে আসা দেশীবিদেশী পর্যটক ও স্থানীয় জনসাধারণকে অস্ত্রশস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের থেকে টাকা পয়সা এবং মূল্যবান সামগ্রী ডাকাতি ও ছিনতাই করে থাকে। নানাবিধ অপরাধের সাথে জড়িত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি, হত্যা এবং অস্ত্রের একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তারা একাধিকবার করে গ্রেপ্তারও হয়েছিল। উদ্ধারকৃত আলামতসহ গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত চক্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে কঙবাজার সদর মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহালদার চরে জাপানি মুলার বাম্পার ফলন
পরবর্তী নিবন্ধসিলেটকে উড়িয়ে বিপিএল শুরু চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের