এরকম চাপের ম্যাচ কখনোই খেলেননি শান্ত

স্পোর্টস ডেস্ক | রবিবার , ৯ জুন, ২০২৪ at ১০:২০ পূর্বাহ্ণ

স্নায়ু চাপের কঠিন পরীক্ষায় উৎরে গিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুভ সূচনা করার পর বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেছেন, আর কোনো ম্যাচে এতোটা চাপ সামলাতে হয়নি তাদের। এর পেছনে বেশি দায় ক্রিকেটারদেরই। অনেক দিন ধরেই চেনা ছন্দে নেই বাংলাদেশ দল। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জিতলেও প্রত্যাশিত দাপট সেখানে ছিল না। বিশ্বকাপের আগে সিরিজ হারে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচেও অসহায় আত্মসমর্পণ করে ভারতের বিপক্ষে। অনেক দিন ধরেই ব্যাটিংয়ে ভুগছে বাংলাদেশ। টপ অর্ডার নেই ছন্দে। বেশিরভাগ ব্যাটসম্যানই অধারাবাহিক। তাই টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ভীষণ চাপেই ছিল শান্তর দল। ডালাসে গতকাল শনিবার শ্রীলঙ্কাকে ২ উইকেটে হারিয়ে টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে পথচলায় বাংলাদেশের জন্য এই ম্যাচের গুরুত্ব ছিল অনেক। কিন্তু সামপ্রতিক ছন্দে জয়ের আশা ছিল অল্পই। তাই সব মিলিয়ে শান্ত বললেন, এমন চাপের ম্যাচ তিনি আগে খেলেননি। বোলারদের দারুণ পারফরম্যান্সে শ্রীলঙ্কাকে মাত্র ১২৪ রানে আটকে ফেলে বাংলাদেশ। পরে টপঅর্ডারের ব্যর্থতায় শুরুতে চাপে পড়লেও তাওহিদ হৃদয়ের ঝড় ও লিটন কুমার দাসের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ১৯তম ওভারে গিয়ে ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে শান্ত ফিরে চাইলেন ম্যাচের আগের আবহর দিকে। ক্যারিয়ারের সবচেয়ে চাপের ম্যাচ ছিল না কিনা তেমন প্রশ্নের জবাবে শান্ত বলেন আমার কাছে তো তাই লেগেছে খেলা শুরুর আগে থেকে। ব্যক্তিগতাভাবে আমার মনে হয়েছে এরকম চাপের ম্যাচ এর আগে আমি খেলিনি। দিন শেষে জিততে পেরেছি। তাতেই শুকরিয়া। বিশ্বকাপের দল ঘোষণার সময় প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন বলেছিলেন, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচের ফলের ওপরই নির্ভর করতে পারে বাংলাদেশের সুপার এইট খেলার সম্ভাবনা। পরে দেশ ছাড়ার আগে প্রায় একই কথা বলেন শান্ত। জয় দিয়ে শ্রীলঙ্কা ম্যাচ শেষ করার পর এখন সামনের জন্য নতুন পরিকল্পনার কথা বললেন তিনি। এই জয়টা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পরের তিন ম্যাচও গুরুত্বপূর্ণ। পরের ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে। ওই ম্যাচে নতুন করে পরিকল্পনা করে আসতে হবে। ভালো ক্রিকেট খেলা ছাড়া উপায় নাই। বিশেষ করে আমরা ব্যাটসম্যানরা যদি আমরা অবদান রাখতে পারি তাহলে ভালো করতে পারব। এই ধরনের ম্যাচ জিতলে সবাই আত্মবিশ্বাসী থাকে। যেহেতু ম্যাচটা আমরা জিততে পেরেছি সবার বাড়তি আত্মবিশ্বাস থাকবে। এই বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিয়ে যদি দ্বিতীয় ম্যাচে যেতে পারি তাহলে কাজে দেবে। আশা করি দ্বিতীয় ম্যাচটাও ভালো হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতামিমের চোখে জয়টা খুব দরকার ছিল
পরবর্তী নিবন্ধনিউজিল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিয়ে ইতিহাস আফগানিস্তানের