মহেশখালীর (এলএনজি) টার্মিনালে যান্ত্রিক ত্রুটির পর গ্যাস সংকটে এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের দুই সার কারখানা। গত ১৮ জানুয়ারি মধ্যরাতে বন্ধ হয়ে যায় আনোয়ারার রাংগাদিয়ায় অবস্থিত চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) ও কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি (কাফকো) সার কারখানার উৎপাদনের চাকা। সিইউএফ এল চালু হতে আরো এক সপ্তাহ লাগতে পারে বলে ধারণা করছে সংশ্লিষ্টরা। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে অপেক্ষা করতে হবে ফেব্রুয়ারি মাসের ১ বা ২ তারিখ পর্যন্ত। আর গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে চালু হয়েছে কাফকো। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কারখানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
কেজিডিসিএল সূত্র বলছে, আনোয়ারার রাঙ্গাদিয়ায় অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা সিইউএফএল চালু করতে প্রতিদিন গড়ে ৪৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস দরকার হয়। এই কারখানাটির উৎপাদন ক্ষমতা ১৮ থেকে ২০ হাজার মেট্রিক টন হলেও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বছরের অর্ধেক সময়ের বেশি বন্ধ থাকে এই কারখানা। ফলে বর্তমানে কারখানার উৎপাদন নেমে এসেছে ১২ হাজার মেট্রিক টনে। সেই হিসেবে এ কারখানা বন্ধ থাকলে দৈনিক ক্ষতি ৩ কোটি টাকার বেশি।
অপরদিকে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি (কাফকো) কাফকো চালু রাখতে দৈনিক ৩২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রয়োজন হয়। পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ থাকলে কাফকোতে দৈনিক ২ হাজার মেট্রিক থেকে ১৮০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাফকোর এক কর্মকর্তা জানান, সংকটের কারণে কাফকোর উৎপাদন গত এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে। গ্যাস সংকট কাটিয়ে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে আবারো উৎপাদন শুরুর চেষ্টা চলছে। তিনি আরো জানান, কাফকো সার কারখানার ২০০০ থেকে ১৯০০ মেট্রিক টন পর্যন্ত সার উৎপাদন করার সক্ষমতা রয়েছে। কয়েকটা বিষয় মাথায় রেখে উৎপাদন কাজ চলে। গ্যাসের চাপ কমলে অনেক সময় উৎপাদন করে, আবার সার সরবরাহ না হওয়ার কারণে গোডাউনে সার রাখার জায়গা না থাকলে উৎপাদন কমাতে হয়।
সিইউএফএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান জানান, বর্তমান সিএফএল এ দৈনিক ১২০০ মেট্রিক টন করে সার উৎপাদন হয়। চালমান গ্যাস সংকটের কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে কারখানা বন্ধ রয়েছে। গত তিনদিন আগে আমরা গ্যাস পেয়েছি। আগামী ফেব্রুয়ারির এক বা দুই তারিখের মধ্যে সিইউএফএল সার উৎপাদন শুরু করব ইনশাআল্লাহ।