হযরত গাউছুল আজম শাহছুফী সৈয়দ গোলামুর রহমান আল হাচানী আল মাইজভান্ডারী (প্রকাশ: বাবা ভান্ডারীর) রওজা পুননির্মাণ শেষে প্রায় সাড়ে ৭ বছর পর সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) আশেকান জায়েরীনদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। লাখো ভক্তের উপস্থিতিতে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালনের মধ্যদিয়ে এটি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
আশেকানে গাউছিয়া মাইজভান্ডারী অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘১২ রবিউল আউয়াল ঈদে মিলাদুন্নবীর দিনে লাখো ভক্তের পদচারণে মুখর হয়েছে মাইজভান্ডার দরবার প্রাঙ্গণ। জিকির আসকার ও দরুদে পুরো মাইজভান্ডার এলাকা প্রাণিত হয়েছে। বিকেলে দেশ-জাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন দরবারের সাজ্জাদনশীন শাহজাদা সৈয়দ মুজিবুল বশর মাইজভান্ডারী।’
আশেকানে মাইজভান্ডারীয়ার ভক্তরা বলেন, লাখো ভক্তের সহযোগীতায় বাবা ভান্ডারীর রওজা শরীফ পূণঃনির্মাণ কাজ দীর্ঘ সাত বছরে শেষ হয়। আওলাদগনের সম্মিলিত প্রয়াস এবং সমস্ত আশেকানে মাইজভাণ্ডারীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এটি করা সম্ভব হয়েছে।
সোমবার এটি উন্মুক্ত করায় ভক্তের সমাগমে মুখরিত হয়েছে দরবার প্রাঙ্গণ। এদিন ছিল মহান ১২ রবিউল আউয়াল। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। যে দিনটি মুসলিম জাহানের ইতিহাসে স্বরণীয় হয়ে আছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাইজভান্ডার দরবার প্রাঙ্গণ সকাল থেকে লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়েছে। বিকেল থেকে ভক্ত-আশেকদের উপস্থিতি ক্রমেই বাড়তে থাকে। এসময় দরবার ময়দানে জিকির আসকার ও মিলাদ কিয়ামে প্রকম্পিত হতে থাকে। শৃংখলা রক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক ও শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।
আখেরী মুনাজাতে গাউছিয়া রহমান মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন শাহজাদা সৈয়দ মুজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, ‘মাইজভান্ডারের আধ্যাত্মিক সাধক গোলামুর রহমান প্রকাশ বাবা ভান্ডারীর রওজা শরীফ সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। লাখো ভক্ত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের মধ্যদিয়ে এটি উন্মুক্ত করা হয়। এখন থেকে এটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তিনি সকল জায়েরীনদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।’