প্রথম দুই ম্যাচ নিয়ে স্পেনকে নিয়ে তখন সমালোচনার শেষ নেই। গ্রুপ পর্ব উতরানোই কঠিন। সেই দলটিই পরের দুই ম্যাচে করল পাঁচটি করে গোল। এরপর সুইজারল্যান্ডের বাধা পেরিয়ে তারা আজ সেমি-ফাইনালে ইতালির মুখোমুখি। চলমান আসরে ইতালি ধারাবাহিকতায় দুর্দান্ত। তবে প্রতিপক্ষকে সমীহ করেই স্পেনের মিকেল ওইয়ারসাবাল বলছেন, তারাও পিছিয়ে নেই। এবারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম সেমি-ফাইনালে আজ মুখোমুখি হচ্ছে প্রতাপশালী এই দুই দল। লন্ডনের ওয়েম্বলিতে ম্যাচ শুরু বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়। ওইয়ারসাবাল বলেন, ‘প্রথম দিন থেকেই আমাদের বিশ্বাস ছিল যে আমরা ঐক্যবদ্ধ ও আঁটসাঁট এবং যথেষ্ট ভালো একটি দল, যা আমরা এর মধ্যেই প্রমাণ করেছি। লোকে যা খুশি বলতে পারে, এসব ফুটবলেরই অংশ।
তবে নিজেদের নিয়ে আমাদের কোনো সংশয় ছিল না। আমরা সবসময় নিজেদের ওপর আস্থা রেখেছি, বিশ্বাস হারাইনি।’ বড় মঞ্চে স্পেন ও ইতালির লড়াইয়ের ইতিহাস বেশ সমৃদ্ধ। প্রতিপক্ষ যখন ইতালি, স্পেন কোচ লুইস এনরিকের সবকিছুর আগে মনে পড়তে পারে ১৯৯৪ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনাল। ইতালি ম্যাচটি জিতে নেয় ২-১ গোলে। সামপ্রতিক ইতিহাস অবশ্য স্পেনের জন্যই বেশি সুখকর। ২০০৮ ইউরোতে কোয়ার্টার-ফাইনালে ইতালিকে হারিয়েই স্পেন এগিয়ে যায় ট্রফি জয়ের দিকে। ২০১২ ইউরোর ফাইনালে তারা ইতালিকে উড়িয়ে দেয় ৪-০ গোলে। সময়ের পরিক্রমায় সেই ইতালি ঘুরে দাঁড়িয়েছে দারুণভাবে। এবারের ইউরোর সবচেয়ে ধারাবাহিক ও অনেকের চোখে, এখনও পর্যন্ত সেরা দল তারাই। তাদের অপ্রতিরোধ্য এই ছুটে চলা শুরু হয়েছে ইউরোর অনেক আগে থেকেই। এই ইতালিকে থামানো যে কোনো দলের জন্যই কঠিন।