চট্টগ্রাম একাডেমি প্রবর্তিত ফয়েজ নুরনাহার সাহিত্য পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, আকিমুন রহমান একজন গুণী কথাসাহিত্যিক, গবেষক ও শিশুসাহিত্যিক। তিনি মানব–জীবনের মৃত্তিকা খুঁড়ে খুঁড়ে সংগ্রহ করেছেন মানবীয় উপাদান। বিপুল অভিজ্ঞতা, জীবনবোধ, গভীর পর্যবেক্ষণ, চরিত্র সৃষ্টি– সব কিছু মিলেই তিনি তাঁর কথাসাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন।
ড. আনোয়ারা আলমের সভাপতিত্বে গত ২১ জানুয়ারি আয়োজিত অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক বিশ্বজিৎ চৌধুরী, কবি কথাসাহিত্যিক ওমর কায়সার, প্রফেসর রীতা দত্ত, প্রফেসর ড. প্রণব কুমার চৌধুরী, কথাসাহিত্যিক দীপক বড়ুয়া, প্রাবন্ধিক নেছার আহমদ, কবি অরুণ শীল, নাট্যজন সনজীব বড়ুয়া প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমির মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর মিয়া।
একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক রাশেদ রউফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে ড. আকিমুন রহমানের সংক্ষিপ্ত জীবনী উপস্থাপন করেন বাচিকশিল্পী তহুরা পিংকী। ধন্যবাদ বক্তব্য দেন একাডেমির পরিচালক কবি সুলতানা নুরজাহান রোজী। উপস্থিত ছিলেন একাডেমির পরিচালক কবি শারুদ নিজাম, প্রাবন্ধিক রেজাউল করিম স্বপন, কবি জসিম উদ্দিন খান, রিটন কুমার বড়ুয়া, অধ্যাপক বাসুদেব খাস্তগীর, ফারজানা রহমান শিমু, জ্যোতি ফারজানা, সুলতানা রাজিয়া, অধ্যক্ষ ছন্দা চক্রবর্তী, সৈয়দা সেলিমা আক্তার, মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান, অধ্যাপক গোফরান উদ্দীন টিটু, নাসের রহমান, ড. সেলিম জাহাঙ্গীর প্রমুখ। কথাসাহিত্যিক ড. আকিমুন রহমানের হাতে সম্মাননা স্মারক, সনদ ও নগদ সম্মানী তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।
অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম তাঁর আজন্ম ভালোবাসার জায়গা। চট্টগ্রামের সবুজ পাহাড়, নদনদী সাগরের জলরাশি তাঁকে ভীষণ মুগ্ধ করে রাখার কথা বলেন। মূলত তাঁর লেখায় যে প্রকৃতিপ্রেম উঠে এসেছে তাঁর অনেকটাই চট্টগ্রামকে ঘিরে। তিনি বলেন, অনবরত ধাক্কা খেতে খেতে তিনি দাঁড়িয়ে গেছেন জীবনে। অভিজ্ঞতা থেকে বলি, লেখালেখির জন্য ধাক্কা বড় ভূমিকা পালন করে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।