শাহ আমানত বিমানবন্দরে বিমান দুর্ঘটনার মহড়া

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ইমার্জেন্সি ফায়ার এক্সারসাইজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে অনুষ্ঠিত মহড়ায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিভিল এভিয়েশন অথরিটির চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান। মহড়ায় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ফায়ার শাখার ২টি ক্রাশ ল্যান্ডার, ২টি অ্যাম্বুলেন্স, বিমানবাহিনীর ক্রাশ ফেন্ডার, ক্রাশ অ্যাম্বুলেন্স, হেলিকপ্টার, ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ট্রাক ইত্যাদি অংশ নেয়।

এছাড়া শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ফায়ার সার্ভিস, বিমানবাহিনী, সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী, র‌্যাব, আনসারভিডিপি, এপিবিএন, ফায়ার সার্ভিস, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, নৌবাহিনী হাসপাতাল, মা ও শিশু হাসপাতাল, আনজুমানে মফিদুল ইসলামসহ বিভিন্ন সংস্থা মহড়ায় অংশ নিয়েছে। স্বাগত বক্তব্যে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক উইং কমান্ডার তাসলিম বলেন, ২০১৯ সালের পর করোনার কারণে মহড়া হয়নি। তিন মাসের প্রস্তুতিতে এ মহড়া হচ্ছে। যেকোনো জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় এ মহড়ায় অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগবে। বিমানবন্দরে ইমার্জেন্সি ফায়ার এক্সারসাইজে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিভিল এভিয়েশন অথরিটির চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান বলেন, ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ। যা আমাদের অর্থনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। বিমানবন্দর আরও আধুনিকায়ন করতে হবে।

তিনি বলেন, বিমান চলাচল ব্যবস্থা অধিক নিরাপদ করতে এই মহড়া। দুর্ঘটনা মোকাবিলায় সমন্বিত প্রচেষ্টা দরকার। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়মের মধ্যে কাজ করতে হয়। মহড়ার মাধ্যমে সক্ষমতা বাড়ে। সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। নয়তো তারা উপস্থিত হলেও সহায়তা দিতে পারবে না। শাহ আমানত বিমানবন্দরের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন। কনসালটেন্ট নিয়োগ করেছি। চাহিদার চেয়ে ক্যাপাসিটি কম। সক্ষমতা বাড়াতে সরকার আন্তরিক। মহড়ায় বক্তব্য দেন সিভিল এভিয়েশন অথরিটির এয়ার কমোডর সাদিকুর রহমান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে মেট্রোরেল, স্বপ্নের পথে প্রথম ধাপ
পরবর্তী নিবন্ধকক্সবাজারে এনজিও কর্মীর হাতের রগ কেটে ব্যাগ ছিনতাই