৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ : শক্তি ও প্রেরণার উৎস

সাইফুদ্দিন সাকিব | সোমবার , ৭ মার্চ, ২০২২ at ৭:৪৮ পূর্বাহ্ণ

আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ ছিল এককালের বৃহত্তর পাকিস্তান রাষ্ট্রের এক অবহেলিত জনপদ তথা পূর্ব পাকিস্তান। ১৯৪৭ সালে ভারত, পাকিস্তান পৃথক রাষ্ট্র হওয়ার পর থেকেই বাঙালিরা অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিকভাবে পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ ছিল। পক্ষান্তরে পাকিস্তান ছিল সবকিছুতে সমৃদ্ধ। তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর জন্য যেই শক্তির প্রয়োজন তা বাঙালিদের ছিল না বললেই চলে। তবে এই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে ছিল অপরিমিত দেশপ্রেম। এই দেশপ্রেমের যে শক্তি সেই শক্তির কাছেই ১৯৭১ সালে হেরে যায় শক্তিধর রাষ্ট্র পাকিস্তান। এটা ছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও সাংগঠনিক সম্মোহনী শক্তির ফসল। তাঁর একক নেতৃত্বে এক্যবদ্ধ হয়েছিল সমগ্র দেশপ্রেমিক জনতা। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স মাঠে জনসমুদ্রে জনতার মঞ্চ কাঁপিয়ে গর্জে ওঠেছিলেন আমাদের বঙ্গবন্ধু। সেদিন তাঁর তর্জনীর শক্তিতেই যেন চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায় বৃহত্তর পাকিস্তান রাষ্ট্র। সেই রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠনিঃসৃত ভাষণ থেকে যে প্রেরণা, শক্তি ও সাহস বাঙালিরা পেয়েছিল, সেই শক্তি দিয়েই দীর্ঘ নয় মাস যুূূদ্ধ করে সশস্ত্র সামরিক জান্তাকে পরাজিত করতে পেরেছিল। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা পেলাম এক নতুন স্বাধীন রাষ্ট্র। অনেক বিভ্রান্তি, ধর্মান্ধতা কাজ করেছিল এদেশের কিছু মানুষের মাঝে। যা এখনো বিদ্যমান। অবশেষে কামনা করি আমার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
লেখক: শিশুসাহিত্যিক

পূর্ববর্তী নিবন্ধভাষণ অত্যন্ত তাৎপর্যময় ভাষণ
পরবর্তী নিবন্ধশেখ মুজিব স্মরণে