সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে দলবেঁধে গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় ছয় আসামির ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের উপ–পরিচালক হিমাংশু লাল রায়। তিনি বলেন, আসামিদের ডিএনএ নমুনার সাথে ধর্ষিতার ডিএনএ মিলিয়ে দেখা হবে। যাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে তারা হলেন, মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, রাজন মিয়া ও আইনুদ্দিন। শাহপরাণ থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী জানান, এ পর্যন্ত মামলায় এজহারনামীয় ছয়জনসহ আট জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সবাইকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। খবর বিডিনিউজ ও বাংলানিউজের।
বিচার বিভাগীয় তদন্ত শুরু : সিলেটে এমসি কলেজ গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনা তদন্তে নেমেছ বিচার বিভাগীয় তদন্ত দল। দলের চার সদস্য গতকাল বিকেলে কলেজ ছাত্রবাস পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা ছাত্রাবাসের নবনির্মিত ভবনসহ বিভিন্ন হল পরিদর্শন করে বিভিন্ন তথ্য–উপাত্ত সংগ্রহ করেন। এর আগে তারা কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন। দলের প্রধান সিলেটের জেলা ও দায়রা জজ মো. বজললুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা কাজ শুরু করেছি। এ বিষয়ে পরে আপনাদের সঙ্গে কথা বলব। দলের অন্য সদস্যরা হলেন সিলেট মহানগরের মুখ্য হাকিম মো. আবুল কাশেম, অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মমিুনুন নেছা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শারমিন সুলতানা। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি ছাড়াও এমসি কলেজ কর্তৃপক্ষ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক : এমসি কলেজের ঘটনা খুবই দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে আশ্বস্ত করেন।