৫০ ধার্য তারিখেও দুদকের মামলায় হল না সাক্ষ্য

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৪ নভেম্বর, ২০২২ at ৭:৪২ পূর্বাহ্ণ

এক, দুই ধার্য তারিখ নয়, ৫০ ধার্য তারিখেও দুদকের এক মামলায় সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়নি। সম্প্রতি উচ্চ আদালতে ওই মামলাটি স্থগিত চেয়ে আরো একটি আবেদন করা হয়েছে। যেটি বর্তমানে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। যার জন্য গতকালও সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।
এ বিষয়ে দুদক পিপি মাহমুদুল হক আজাদীকে বলেন, সিঙ্গাপুরভিত্তিক আলোচিত স্পিক এশিয়া অনলাইন (বিডি) প্রতিষ্ঠানের এজেন্ট মা পলিকম লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানটি ১২ হাজার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। মামলা দায়ের পরবর্তী দ্রুততম সময়ের মধ্যে চার্জশিটও দেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী চার্জগঠন করে বিচারও শুরু করা হয়। কিন্তু শুরু করা যায়নি সাক্ষ্যদান কার্যক্রম। আজকেও (গতকাল) সাক্ষ্যদানের জন্য ৫০তম ধার্য তারিখ ছিল, কিন্তু হয়নি। এ মামলায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সাদিয়া রহমান পলাতক এবং এমডি তার স্বামী আব্দুল আজিম জামিনে আছেন বলে জানান তিনি।
দুদক পিপি জানান, ২০১১ সালে নগরীর কোতোয়ালী থানায় দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে মা পলিকম লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সাদিয়া রহমান ও একই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে থাকা তার স্বামী আব্দুল আজিমের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলাটি দায়ের করেন। এই দম্পতি রাঙ্গুনিয়া
উপজেলার চন্দ্রঘোনা এলাকার হাজী পাড়ার বাসিন্দা। মানি লন্ডারিং আইনে (অর্থ পাচার) করা মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তাও ছিলেন মাহবুবুল আলম। ২০১৩ সালের ১৯ মে দ্রুত তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে তিনি দুই আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। উচ্চ আদালতে আসামি পক্ষের দৌঁড়ঝাঁপের চাপে পড়েই এগুচ্ছে না মামলাটির বিচার। বিচার বিলম্বিত করতে পক্ষটি গত ১০ বছরে অন্তত ১১ বার উচ্চ আদালতে গিয়েছে। সম্প্রতি মামলা স্থগিত চেয়ে সেখানে আরো একটি আবেদন করা হয়েছে। যেটি বর্তমানে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
প্রসঙ্গত, মা পলিকম লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও এমডির বিরুদ্ধে দায়ের করা অর্থ পাচারের মামলাটি চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আব্দুল মজিদের আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। মামলাটির সাক্ষীর সংখ্যা বাদী, তদন্ত কর্মকর্তাসহ ২৫ জন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজমি বন্ধক কিংবা বিক্রয় করে জালিয়াতির সুযোগ থাকছে না : ভূমিমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধবন ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় ম্যানচেস্টার থেকে মাটিরাঙায়