করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। এটি ভারতে শনাক্ত অতি সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। গতকাল শুক্রবার প্রকাশিত নতুন তালিকায় ওমিক্রন কমপক্ষে ৩০ দেশে ছড়িয়ে পড়ার কথা বলা হয়েছে। এসব দেশে মোট ৩৭৫ জন এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন। দু’দিন আগেও ওমিক্রনের সংক্রমণ তালিকায় ছিল ১২টি দেশের নাম। খবর বাংলানিউজের।
ইতোমধ্যে প্রতিবেশী দেশ ভারতে শনাক্ত হয়েছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ইউরোপের অধিকাংশ দেশে ঢুকে পড়েছে করোনার বিপজ্জনক নতুন ভ্যারিয়েন্টটি। ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল (ইসিডিসি) জানিয়েছে, যে গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন, শিগগিরই ডেল্টাকে সরিয়ে এটিই বিশ্বে ‘ডমিন্যান্ট’ বা মূল সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট হয়ে উঠবে।
দক্ষিণ আফ্রিকা ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিষয়ে প্রথম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও) রিপোর্ট করেছিল ২৪ নভেম্বর। কিন্তু সামপ্রতিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, এর বহু আগেই বিভিন্ন দেশে ছগাতে শুরু করেছিল ভ্যারিয়েন্টটি। দক্ষিণ আফ্রিকায় হু-র বিশেষজ্ঞ দল: এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে করোনার নতুন রূপ ‘ওমিক্রন’। গত বৃহস্পতিবার সেখানে নতুন সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১১ হাজার ৫০০। নতুন সংক্রমিতদের বড় অংশই গাউতেং প্রদেশের। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) পক্ষ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার ওই প্রদেশে ওমিক্রন সংক্রমণের পর্যবেক্ষণ এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠানো হয়েছে।
হু-র আফ্রিকার দায়িত্বপ্রাপ্ত আপদকালীন আঞ্চলিক অধিকর্তা সালাম গুয়েইয়ে বলেছেন, আমরা নজরদারি ও সমন্বয়ের কাজে সহযোগিতার জন্য একটি দল গাউতেং প্রদেশে পাঠিয়েছি। ইতোমধ্যেই আমরা সেখানে জিন সিকোয়েন্সিং-এর মাধ্যমে নতুন রূপটি চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করেছি।