জনপ্রিয় লেখক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যার ১৮ বছর পর এই মামলার রায় ঘোষণা হবে আজ বুধবার। ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আল-মামুনের আদালতে মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য রয়েছে। খবর বাংলানিউজের।
গত ১৮ জানুয়ারি এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে। এরপর গত ২৭ মার্চ আসামিপক্ষ তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে। উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিচারক রায়ের জন্য ১৩ এপ্রিল দিন ধার্য করেন। রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে বলে আশা করছে রাষ্ট্রপক্ষ।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান চৌধুরী জানান, আমরা সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কারাগারে থাকা দুই আসামি মিনহাজ ও আনোয়ার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাই সার্বিক বিবেচনায় আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হবে বলে আমরা আশাবাদী।
তবে, আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ মনে করেন আসামিরা ন্যায়বিচার পাবেন। রায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, ন্যায়বিচার পাওয়া রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার। আসামিরা যে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত রাষ্ট্রপক্ষ তা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পারেননি। তাই আমরা আশা করছি, ন্যায়বিচার হবে এবং আসামিরা খালাস পাবেন।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, অমর একুশে বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সামনে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন ড. হুমায়ুন আজাদ। তাকে চাপাতি ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। ঘটনার পরদিন হুমায়ুন আজাদের ভাই মঞ্জুর কবির রমনা থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। ২২ দিন ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) এবং ৪৮ দিন ব্যাংককে চিকিৎসা নেন। সবশেষ জার্মানির মিউনিখে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একই বছরের ১২ আগস্ট তিনি মারা যান। এই মামলায় ২০১২ সলের ১০ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। বিচার চলাকালে মোট ৪১ জন সাক্ষী আদালতে জবানবন্দি দেন। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে ১৮ বছর পর এই মামলার রায় ঘোষণা করার কথা রয়েছে।