বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন আয়োজিত শেখ কামাল বাংলাদেশ যুব গেমসের দ্বিতীয় আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ। গেমসের শেষ দিনে চট্টগ্রাম বিভাগ ৪৯টি স্বর্ণ, ৪০টি রৌপ্য এবং ৫৭টি ব্র্রোঞ্জ পদক সহ মোট ১৪৬টি পদক নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দল। ঢাকা বিভাগ রানার্স আপ হয়েছে । তারাও ১৪৬টি পদক পেয়েছে। তবে তারা ৪৬টি স্বর্ণ, ৩৯টি রৌপ্য এবং ৬১ টি ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা খুলনা
বিভাগ পেয়েছে ৪২টি স্বর্ণ, ৪৩টি রৌপ্য এবং ৫৯টি ব্রোঞ্জ পদক সহ ১৪৪ টি পদক পেয়েছে। চট্টগ্রাম সবচাইতে বেশি ২৪টি পদক পেয়েছে তায়কোয়ান্ডো থেকে। যেখানে ১০টি স্বর্ণ পদক রয়েছে। ৮টি স্বর্ণ পদক সহ ২২টি পদক পেয়েছে কারাতে থেকে। ৫টি স্বর্ণ পদক সহ ১৪টি পদক পেয়েছে উশু থেকে। ৭টি স্বর্ণ পদক সহ ১৪টি পদক পেয়েছে জিমনেস্টিঙ থেকে। ৪টি স্বর্ণ পদক সহ দশটি পদক পেয়েছে সাইক্লিং থেকে। ৪টি স্বর্ণ পদক সহ ৮টি পদক পেয়েছে টেবিল
টেনিস থেকে। গতকাল গেমসের শেষ দিনে ৪টি পদক লাভ করে চট্টগ্রাম। তরুণদের উশু সান্দা ইভেন্টে অনূর্ধ্ব–৪৫ কেজি ওজন শ্রেণিতে চট্টগ্রামের ইমন তঞ্চঙ্গ্যা স্বর্ণ পদক লাভ করে। তরুণীদের উশু সান্দা ইভেন্টে অনূর্ধ্ব–৪৫ কেজি ওজন শ্রেণিতে চট্টগ্রামের মেবুমা মার্মা স্বর্ণ পদক লাভ করে। তরুণীদের উশু
সান্দা ইভেন্টের অনূর্ধ্ব–৫২ কেজি ওজন শ্রেণিতে চট্টগ্রামের সুমাইয়া স্বর্ণ পদক লাভ করে। গেমসের সবশেষ ইভেন্ট এ্যাথলেটিক্সের তরুণীদের ৮০০ দৌড়ে চট্টগ্রাম বিভাগের পক্ষে স্বর্ণপদক জয় করে তানজিলা আক্তার। আর এই পদক দিয়েই শেষ হয় এবারের শেখ কামাল যুব গেমস। আর সেখানে চমক দেখিয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দল।
তবে এবারের যুব গেমসে যেসব ইভেন্টে বেশি আশা ছিল সেই ফুটবল, ব্যাডমিন্টন এবং সাঁতার থেকে প্রত্যাশিত পদক আসেনি। বিশেষ করে ব্যাডমিন্টনে ব্যর্থ হয়েছে চট্টগ্রাম। নিজেদের সুইমিং পুল থাকা সত্ত্বেও সাঁতার থেকে আসেনি প্রত্যাশিত পদক। ফুটবলতো একেবারেই ব্যর্থ। তবে আশা করা হচ্ছে আগামীতে সে সব ইভেন্ট থেকে পদক লাভে জন্য নিজেদের প্রস্তুত করবে চট্টগ্রাম।
গতকাল গেমসের শেষ দিনে পুরস্কার বিতরণ করেন বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের সভাপতি এবং বাংলাদেশ সেনাবহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফি উদ্দিন আহমেদ। চট্টগ্রাম বিভাগের পক্ষ থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি গ্রহণ করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সিরাজুদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দলের সমন্বয়ক কল্লোল দাশ সহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। দলের এমন সাফল্যে দারুণ খুশি সিরাজুদ্দিন মোঃ আলমগীর। তিনি তার ক্রীড়াবিদদের ধন্যবাদ জানান এমন সাফল্য এনে দেওয়ার জন্য। এই সাফল্য ভবিষ্যতের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে কাজ করবে বলেও তিনি আশা করেন।