হেফাজতের ১৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এমপির মামলার আবেদন খারিজ

সাইবার ট্রাইব্যুনাল

| বুধবার , ২৩ জুন, ২০২১ at ১০:১০ পূর্বাহ্ণ

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টির অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হেফাজতে ইসলামের ১৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে স্থানীয় এক সংসদ সদস্যের করা মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনাল। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদনটি করেছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার (সদর ও বিজয়নগর আসন) এমপি উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ কে এম তোফায়েল হাসান পরে আবেদনটি খারিজ করে দেন বলে আইনজীবীদের কাছ থেকে জানা গেছে। খবর বিডিনিউজের।
সংসদ সদস্যের আইনজীবী ইকবাল হোসাইন বলেন, বাদী সশরীরে হাজির হয়ে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। অভিযোগের সপক্ষে আমরা ফেইসবুকের লিংক, ছবি ও ভিডিও পেনড্রাইভে করে এবং এসবের কালার ফটোকপিও জমা দিয়েছিলাম। আদালত রাতে দেওয়া আদেশে মামলাটি গ্রহণ করেননি বলে শুনেছি। আমরা পূর্ণাঙ্গ আদেশ পাইনি। গত মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরকে কেন্দ্র করে হেফাজতের বিক্ষোভ-হরতাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চালানো সহিংসতার ঘটনায় মামলার আবেদনটি করেন উবায়দুল মোকতাদির। গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেলওয়ে স্টেশন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা, জেলা পরিষদ কার্যালয়, জেলা পরিষদ ডাক বাংলো, পৌরসভা কার্যালয়, পৌর মিলনায়তন, সদর উপজেলা ভূমি অফিস ও আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনসহ বেশ কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা-অগ্নিসংযোগ হয়েছিল। ওই সব ঘটনায় ৫৬টি মামলাও হয়েছে।
সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদনে হেফাজতের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি সাজিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মুবারক উল্লাহসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সাজিদুর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুসিয়া মাদ্রাসার মুদাররেস, মুবারক ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ।
সাংসদের আইনজীবী ইকবাল হোসাইন জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৭, ২৮, ২৯, ৩১ ও ৩৫ ধারায় অভিযোগ করা হয়। এসব ধারায় ভয় ভীতি প্রদর্শন ও আক্রমণাত্মক তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ, সোশ্যাল মিডিয়া ও ইউটিউব চ্যানেল ব্যবহার করে প্রচারণা চালানো, সাইবার সন্ত্রাসী কার্য সংগঠন, ইলেকট্রনিক বিন্যাসে ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত, ধর্মীয় উন্মাদনা তৈরিতে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে প্রচারণা চালানো এবং গণমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ আনা হয়।
তিনি বলেন, ফেসবুকসহ ইলেকট্রনিক বিন্যাসে ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত করে বিভিন্ন প্রচারণার পাশাপাশি ৩১২ জনের নাম উল্লেখ করে বলেছে, ‘তারা মারা গেলে তাদের জানাজা পড়বেন না’। এছাড়া কিভাবে হামলা করতে হবে সেজন্য অনুসারীদের সহিংসতার সময় লুঙ্গি না পরতে, জিন্স ও হেলমেট পরতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপর ৩১ মার্চ তারা একটি সংবাদ সম্মেলন করে যাবতীয় ঘটনার জন্য স্থানীয় এমপিকে দায়ী করে মিথ্যা বক্তব্য দেয় এবং মিডিয়াতে তা প্রচার করে। এতে বাদীর সুনাম ও সুখ্যাতি নষ্ট হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকুতুবুল আউলিয়া সৈয়দ আহমদ শাহ ছিরিকোটি (রহ.)
পরবর্তী নিবন্ধসবুজবাগের ত্রাস সাব্বির সহযোগীসহ গ্রেপ্তার