গণতান্ত্রিক ব্যাবস্থায় হিরো আলমের রাজনৈতিক উত্থানকে হেয় বা অপমান করার কিছু নাই। গণতন্ত্রে সকলের সমান অধিকারকে সম্মান ও সমর্থন করে এবং জনগণেকে সকল ক্ষমতার চাবিকাঠি মনে করে। বাস্তবে হিরো আলমের রাজনৈতিক উত্থান বাংলাদেশের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের পরিচয়। রাজনীতি কতটা অসহায় ও দেউলিয়াত্ব হলে হিরো আলম সংসদ সদস্য হওয়ার দাবি রাখে তা সহজে অনুমেয়।
রাজনীতি ও রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপে সমাজের স্থিতিশীলতা, সামাজিক পরিবেশ ও পরবর্তী প্রজন্মের বেড়ে ওঠার পরিবেশ ও আদর্শ নির্ভর করে। যেখানে সমাজের কাছে নেগেটিভ বার্তা গেলে পরবর্তী প্রজন্ম সে পথে উৎসাহিত বা ধাবিত হবে এটাই স্বাভাবিক। হিরো আলম বাংলাদেশের ভেঙে যাওয়া সামাজিক ও রাজনৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের প্রতিধ্বনি। যা আমাদের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, সমাজ ও রাজনীতির জন্য ভবিষ্যৎ সর্তক বার্তা। এ জন্য বিখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও আর্দশ রাষ্ট্র ধারণার জনক প্লেটো বলেন, “মানুষ যেমন হবে রাষ্ট্রও তেমনি হবে। মানুষের চরিত্র দ্বারাই রাষ্ট্র গড়ে উঠে“। বিঃ দ্রঃ হিরো আলমের সংগ্রাম, বেড়ে উঠা ও প্রতিষ্ঠিত হওয়া সত্যি প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু রাজনৈতিক উত্থান সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ভবিষ্যৎ অনুকরণীয় নই, সতর্ক বার্তা।