ভোর শুরু হতেই বয়ে যাচ্ছে কনকনে হিমেল হাওয়া। এই হিমশীতল হাওয়ার ঝাপ্টায় বেশ কুঁকড়ে যাচ্ছেন নগরবাসী। এতে ভোরে উঠে নিয়মিত হাঁটেন এমন লোকজনেরও কম্বলের সাথে সখ্য দীর্ঘায়িত হচ্ছে। তবে বরাবরের মত ভোরের শীত উপেক্ষা করে কর্মস্থলের দিকে ছুটতে হয় খেটে খাওয়া মানুষদের। অনেকের শরীরে পর্যাপ্ত শীতের পোশাক নেই। তীব্র শীত সহ্য করে তারা নেমে পড়েন জীবন যুদ্ধে। তবে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন ভাসমান লোকজন ও পথশিশুরা।
নগরীর বিভিন্ন স্টেশনে ঠান্ডায় তাদের জবুথবু হয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে। আবার শীত নিবারণে অনেকে কাঠ–খড়–কাগজ পুঁড়িয়ে উষ্ণতা নেয়ার চেষ্টা করেন। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় চট্টগ্রামে শীতের মাত্রা কম হলেও বাতাসের কারণে এখন বেশ শীত অনুভূত হচ্ছে বলে জানান নগরবাসী।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, চট্টগ্রাম সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চল হওয়ায় এখানে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। সমুদ্রের কারণে আবহাওয়া কিছুটা উষ্ণ থাকে। তবে প্রাকৃতিকভাবে বেশি শীত নেমে এলে তখন শৈত্যপ্রবাহ হতেও পারে। এটি ঠিক আগামী কদিন চট্টগ্রামের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি কমে যেতে পারে।
রিকশাচালক মহরম আলী বলেন, ভোরে রিকশা নিয়ে বেরুতে হয়। এ সময় কুয়াশার সাথে ঠান্ডা বাতাসও থাকে। পেটের দায়ে রিকশা চালাই। ঠান্ডা কিংবা গরমের কারণে তো বসে থাকতে পারি না। ৭ জনের বড় পরিবার। কিছুদিন আগে একলোক একটি চাদর দিয়েছেন। সেটি গায়ে চাপিয়েই রিকশা চালাতে হচ্ছে।
পথচারী আশরাফুল মারুফ বলেন, শীত আগের চেয়ে বাড়ছে। এটি ঠিক দেশের অনেক অঞ্চলের তুলনায় চট্টগ্রামের অবস্থা অনেক ভালো। তবে সকালে কুয়াশার সাথে ঠান্ডা বাতাস থাকায় শীত বেশ অনুভব হয়।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, চট্টগ্রামে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে আগামী কদিনের মধ্যে তাপমাত্রা ২–৩ ডিগ্রি কমতে পারে। আজ (গতকাল) চট্টগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সাধারণত আমরা তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে না নামলে শৈত্যপ্রবাহ বলি না।