সাংসদ ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নির্দেশনায় হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও মির্জাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাথে লাগোয়া দীর্ঘদিন অবৈধ দখলে রাখা ভূমি উদ্ধার করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার এসি ল্যান্ড অফিসের সার্ভেয়ার দিয়ে পরিমাপ করে এসব ভূমি উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, উপজেলার আওতাধীন মির্জাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থানীয় শিক্ষানুরাগীরা ১৯২২ খৃষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করন। সেই সাথে পাশাপাশি মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৪৫ সালে এলাকার সন্তানদের পড়াশোনার সুবির্থে তৎকালীন বিদ্যানুরাগীরা প্রতিষ্ঠা করেন।
এই দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কিছু জায়গা দীর্ঘদিন যাবদ পার্শ্ববর্তী লোকজন অবৈধভাবে দখল করে রেখেছিল। সম্প্রতি অবৈধ দখলে থাকা সম্পত্তির পাশে বহুতল পাকা মার্কেট নির্মাণ করতে গিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ধ্বসে পড়ে। বিষয়টি হাটহাজারী থেকে নির্বাচিত সাংসদ, সাবেক মন্ত্রী ও মহান জাতীয় সংসদের প্যানেল স্পিকার ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে অবহিত করলে, তিনি দ্রুত স্কুলের জায়গা উদ্ধারের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ রহুল আমিনকে নির্দেশনা প্রদান করেন।
ইউএনও স্কুলের জায়গা পরিমাপ করে দেওয়ার জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরীফ উল্লাহকে দায়িত্ব প্রদান করেন। এসি ল্যান্ড ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার দিয়ে বৃহস্পতিবার জায়গা পরিমাপ করান। পরিমাপের পর দেখা যায় স্কুলের বেশ কিছু জায়গা অবৈধ দখলে চলে গেছে।
জায়গা পরিমাপ করে অবৈধ দখলে থাকা জায়গা উদ্ধার করেছেন উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ারদ্বয়। জায়গা পরিমাপের সময় সহকারী কমিশন ভূমি অফিসের দুই সার্ভেয়ার। সরকারহাট ভূমি অফিসের তহশীলদার, মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদ্বয়, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতিদ্বয় ও পরিচালনা পরিষদের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।