তাওয়াজ্জুহ এর মাধ্যমে অন্তরে খুলুছিয়ত সৃষ্টি হয়, হেদায়তের পথে চলতে মানুষের অন্যতম বাধা হলো নফসের কুপ্রবৃত্তি। এটি মানুষকে সিরাতুল মুস্তাকিমের পথে চলতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। নফসানিয়াতকে অবদমতি করে রূহানিয়ত বিকাশের জন্য প্রয়োজন খুলছিয়ত। খলিফায়ে রাসূল (দ.) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু ছিলেন খুলুছিয়তের মূর্ত প্রতীক। তাঁর তরিক্বতে সিনা–ব–সিনা তাওয়াজ্জুহ এর মাধ্যমে মানুষের অন্তরে খুলুছিয়ত সৃষ্টি হয়। এ তরিক্বতের অনুশীলনের মাধ্যমে মানুষ পুনরায় হেদায়তের পথে ফিরে আসে। তিনি মানুষকে নবীজির বাতেনি নূরের তাওয়াজ্জুহ ও ফয়েজে কুরআন তথা কুরআনের নূর প্রদানের মাধ্যমে মানুষের অভ্যন্তরীণ পরিশুদ্ধি করে এসেছেন। ফলে মানুষের মৃত ক্বলবে আল্লাহর জিকির প্রতিষ্ঠা হয়।
গতকাল শুক্রবার বাদে জুমা হতে উত্তর মাদার্শা উচ্চ বিদ্যালয় ময়দানে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ ৫নং উত্তর মাদার্শা শাখার ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত এশায়াত মাহফিলে উপস্থিত হাজারো মুসলমানের উদ্দেশ্যে প্রধান মেহমানের বক্তব্যে কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের মাননীয় মোর্শেদ, আওলাদে রাসূল (দ.) হযরতুলহাজ্ব আল্লামা অধ্যক্ষ শায়খ ছৈয়্যদ মাননীয় মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী ছাহেব এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ও সংগঠনের মহাসচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবুল মনছুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এশায়াত মাহফিলে বক্তব্য রাখেন মুফতি মাওলানা কাজী মুহাম্মদ আনোয়ারুল আলম ছিদ্দিকী, মাওলানা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন, মাওলানা মুহাম্মদ সবুর, মাওলানা মুহাম্মদ ফোরকান ও মাওলানা মুহাম্মদ সায়েম।মিলাদ–কিয়াম শেষে মাননীয় প্রধান মেহমান দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি–সমৃদ্ধি এবং কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আন্হুর ফুয়ুজাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।