হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের কালাবাদশা পাড়ার মো. হোসেন এলাহী বাচা(৪০) হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সুমনকে(৩৫) আটক করেছে র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৭)।
সুমন হাটহাজারীর মির্জাপুরের কালাবাদশা পাড়ার শফিউল আলম মাস্টারের ছেলে।
জানা যায়, হাটহাজারীর ৩নং মির্জাপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের কালা বাদশাহ পাড়া এলাকায় গত ১৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মসজিদ-মাদ্রাসার অর্থ সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের কারণে দুর্বৃত্তের হামলায় ডা. শেখ আহাম্মদের বাড়ির মৃত লতু মিয়া মিস্ত্রির দুই ছেলে মো. হোসেন এলাহী বাচা ও মোমেন এলাহী কালু মারাত্মক আহত হয়।
আহতদের তার স্বজনেরা উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাদের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাচা সেই রাতেই মারা যায়।
এই ঘটনায় নিহতের ভাই মোহছেন এলাহী বাদী হয়ে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. এম এ হাসেম সহ নামীয় ১৪ জন ও আরো অজ্ঞাত ১২ জনকে বিবাদী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই হত্যার পর মামলার আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ ও গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। তারই প্রেক্ষিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোয়েন্দা নজরদারি ও আধুনিক তথ্যপ্রযুুক্তি ব্যাবহার করে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সুমনকে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামে আসার পথে গতকাল বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ফেনী জেলার মোহাম্মদ আলী বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার হোসেন এলাহী হত্যা মামলার আসামি সুমনকে আটক করার কথা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বলেন, “তার বিরুদ্ধে বায়েজিদ বোস্তামি থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইন এবং হাটহাজারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা আদালতে বিচারাধীন রযেছে। সে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত।”
আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে হাটহাজারী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।