হলুদ-কালো তরমুজে চমক

আনোয়ারায় প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন

আনোয়ারা প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ২৫ আগস্ট, ২০২২ at ৫:৩৯ পূর্বাহ্ণ

আনোয়ারায় হলুদ ও কালো তরমুজ চাষের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। উপজেলার বরুমচড়া নলদিয়া গ্রামের মোহাম্মদ সোহেল প্রথম এ দুই জাতের তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। আর এতেই এ অঞ্চলের কৃষক নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। তার দেখানো পথ ধরে আশাতীত ফলনের পাশাপাশি নতুন প্রযুক্তির সংমিশ্রণ ঘটতে যাচ্ছে বিদেশি জাতের এই তরমুজ চাষে।
থাইল্যান্ডের উচ্চ ফলনশীল ব্ল্যাক বেবি ও তৃপ্তি জাতের তরমুজ চাষে রীতিমত চমক দেখিয়েছেন সোহেল। দেশে সাধারণত সবুজ রঙের তরমুজ দেখা গেলেও সোহেল তার ১৬ শতক জমিতে প্রথমবারের মত থাইল্যান্ডের ব্ল্যাক বেবি ও তৃপ্তি জাতের তরমুজের চাষ শুরু করেনে। ব্ল্যাক বেবি তরমুজের গায়ের রঙ কালো, তৃপ্তি জাতের তরমুজ হলুদ।সোহেল গত ২৪ জুন তরমুজ বীজ বপন করেন। গত দুই মাসের পরিচর্যায় ক্ষেতে ব্যাপক ফলন আসে। ইতোমধ্যে তরমুজের আকার এক কেজি ছাড়িয়ে গেছে। অনেকেই তার কাছে এস চাষাবাদের নিয়মকানুন জেনে নিচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসের আধুনিক প্রযুক্তি সহায়তায় মালচিং পেপার ব্যবহার করে মাচার মাধ্যমে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষের এই পদ্ধতি এলাকার কৃষকদের মাঝে দারুণ আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। উপ সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সরোয়ার আলম জানান, মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করলে একজন চাষী নানানভাবে উপকৃত হয়। বিশেষ করে এ পদ্ধির চাষে আগাছা, রোগ, পোকা মাকড় ও বৃষ্টির পানি জমে ফসল নষ্ট হওয়ার আশংকা কম থাকে। ফলনও ভাল হয়।
চাষী মো. সোহেল জানান, চলতি মৌসুমে ২ একর জমিতে বেগুন, টমেটো, বরবটিসহ অন্যান্য শাক-সবজির আবাদ করেছেন তিনি। পাশাপাশি এই প্রথম ১৬ শতক জমিতে তরমুজ চাষ করেন। উপজেলা কৃষি অফিসের প্রযুক্তি সহায়তায় ফলন ভাল হয়েছে। বর্তমানে কয়েক শতাধিক তরমুজ এক কেজির উপর ওজন হয়েছে। আগামী ২০ দিনের মধ্যে ক্ষেত থেকে পাকা তরমুজ ওঠানো হবে। তিনি বলেন, তরমুজ চাষে ৩০ হাজার টাকার মত খরচ হলেও আশা করছি দেড় থেকে দুই লাখ টাকা আয় করতে পারব। আল্লাহ সহায় হলে আগামী বছর আরো বেশি তরমুজ চাষ করব। তরমুজ চাষের মাধ্যমে আমি স্বাবলম্বী হতে চাই। আশা করি আমি সফল হব।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলী জানান, উপজেলা কৃষি অফিসারের সার্বিক সহযোগিতায় বরুমচড়ার নলদিয়া গ্রামের চাষী মো. সোহেলের তরমুজ ক্ষেতে ব্যাপক ফলন হয়েছে। মালচিং পেপার ব্যবহার করে মাচার মাধ্যমে গ্রীষ্মকালীন এই তরমুজ ক্ষেতটি স্থানীয় কৃষকদের মাঝে ব্যপক আগ্রহ সৃষ্টি করেছে।
আগামীতে শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ বাড়াতে উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে সব ধরনের প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপর্যায়ক্রমে ম্যানুয়াল দাখিলা বন্ধ করার নির্দেশ ভূমিমন্ত্রীর
পরবর্তী নিবন্ধপিবিআইয়ের তদন্ত।।মিতুকে হত্যা করতে খুনিদের তিন লাখ টাকা দেন বাবুল