সৌদি আরবে প্রবেশে যে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সারতে হয় তা হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশেই সেরে ফেলার আশ্বাস দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ। গতকাল বুধবার ঢাকার হোটেল সোনারগাঁওয়ে তার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। খবর বিডিনিউজের।
তিনি আরও বলেন, সৌদি আরবের আরও ২০ কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে। আমরা আলোচনা করেছি, আমাদের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে সৌদি সরকার, সৌদি কোম্পানিগুলো আসতে চায়। যত ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া দরকার, আমরা তাদেরকে দেব। ইতোমধ্যে ২০টি সৌদি কোম্পানি আগ্রহ দেখিয়েছে। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। আশা করা যায়, খুব শিগগির বাস্তবায়ন হবে।
তিনি বলেন, যারা হজে যাবেন, তারা যাতে সহজে ভিসা ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা এখানেই সম্পন্ন করে যেতে পারেন, যাতে হয়রানি কমানো যায়, সেই অনুরোধ তিনি রেখেছিলেন সৌদি মন্ত্রীর কাছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি আমাকে বলেছেন, এই বছর তারা শতভাগ ক্লিয়ারেন্স বাংলাদেশেই করবেন; যাতে কোনো হয়রানি না হয়। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার পর এ বছর বিদেশিদের জন্য হজ পালনের সুযোগ করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে সৌদি সরকার। ২০২০ সালে সৌদি আরবে থাকা ১০ হাজার এবং ২০২১ সালে ৬০ হাজার বিদেশি ও সৌদি নাগরিককে নিয়ে হজের আনুষ্ঠানিকতা সারা হয়েছিল। মহামারীকালের আগে প্রতিবছর ২৫ লাখের মত নারী-পুরুষ হজ পালন করতে সৌদি আরবে যেতেন; যাদের মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা থাকত এক লাখের বেশি। যেসব দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ হজ করতে যান, তারা বিশেষ ব্যবস্থায় সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া নিজেদের দেশেই করার বন্দোবস্ত করছে। ফলে ওই সব দেশের হজযাত্রীদের সৌদি আরবে পৌঁছে বিমানবন্দরে বসে থাকতে হয় না।
অন্যদিকে বাংলাদেশ সেই ধরনের কোনো বন্দোবস্ত আগে না থাকায় জেদ্দায় পৌঁছানোর পর ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হত। হজযাত্রীদের সেই বিড়ম্বনার অবসানে সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের ঢাকায় এনে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্নের উদ্যোগ ২০১৯ সালে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নানা জটিলতায় সেই কার্যক্রমে তখন ব্যাঘাত ঘটে।