ফাল্গুন মাসের প্রথম শুক্রবার পারকি সমুদ্র সৈকত হয়ে উঠে উৎসব মুখর। সৈকতের বালুচরে গড়িয়ে পড়ে সাগরের ঢেউ, সেখানে চলে লাল কাঁকড়ার লুকোচুরি খেলা। এমন দৃষ্টিনন্দন পরিবেশে হাসি আর তারুণ্যের উচ্ছ্বাসকে ফিরিয়ে এনে জমেছিল এক আড্ডা, আর সেই আড্ডায় সপরিবারে পুরো পারকি বিচকে মাতিয়ে তুলেন আনোয়ারা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের এইচএসসি-৯৩ ও স্নাতক-৯৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
ব্যস্ত নাগরিক জীবনের ফাঁকে পুরনো সতীর্থ-সহপাঠীদের সঙ্গে দিনব্যাপী পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে আনন্দ মাতোয়ারায় হাজির হয়েছিলেন তারা। অনেকেই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের ফাঁকে-ফাঁকে পুরনো বন্ধুদের পেয়ে সৈকতের বুকে অপার আনন্দে হারিয়ে যান অতীতের স্মৃতিমাখা দিনগুলোতে। শুক্রবার সকালে পারকি সৈকতের ঝাউ গাছের নিচে বালুচরে সিঙ্গারা-কেক, মিষ্টি আর চায়ের কাপ ঘিরে ছাত্র জীবনের সে আড্ডায় ফিরতে পেরে পুরনোদের চোখেমুখে ঝিলিক দিয়ে গেল অতীতকে ছুঁয়ে দেখার অনাবিল আনন্দে। দুপুরে মধ্যহ্নোভোজ, বিকালে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ ঘিরে ছিল বাড়তি আনন্দের রেশ। আর সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের নেতৃত্বে থাকা বন্ধুদের কাছে পেয়ে একে অপরের দিনটি কাটল যেন স্বপ্নের মত।
গতকাল শুক্রবার পারকি সমুদ্র সৈকতে আয়োজনে প্রধান সমন্বয়ককের দায়িত্বে ছিলেন কৃতি শিক্ষার্থী আনছারুল হক সুমন। প্রাক্তন শিক্ষার্থী ছৈয়দুল আজাদ ও বাবলী রায় চৌধুরীর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করেন পলাশ বিশ্বাস, ফরিদ উদ্দিন খান মিল্টন, মোরশেদ মুন্না, গিয়াস উদ্দিন, অ্যাড. নুরুল আবছার, বিকাশ দত্ত, খোরশেদ আলম, মো. ইকবালসহ প্রাক্তনরা।