৪২টি পিলারের উপর বসে গেল ৪১টি স্পেন। টুকরো টুকরো স্বপ্নের জোড়া তালিতে বুনন হলো ৬.১৫ কিলোমিটারের মূলসেতু। স্বাধীনতার পর দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে সুবর্ণ জয়ন্তীর দ্বারপ্রান্তে আমরা। পঞ্চাশ বছরের মাথায় আমরা অনেক কিছু করেছি। এটা সম্ভব হয়েছে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ পেয়েছিলাম বলে। দেশপ্রেম, জনগণের প্রতি ভালোবাসা, দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে বাংলাদেশ আমাদের উপহার দিয়েছিলেন, তা সত্যিকার অর্থে এখন সোনার বাংলা হতে চলেছে। পদ্মাসেতু দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার ফলে পুরো বাংলাদেশ চলে আসবে হাতের মুঠোয়। এ এক অন্যরকম বাংলাদেশকে আমরা দেখবো। ‘জেগে জেগে স্বপ্ন দেখতে হয়,’ ভারতের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট, বিশিষ্ট বিজ্ঞানী এ পি জে আবদুল কালামের এমন অমর বাণী এক্ষেত্রে প্রণিধানযোগ্য। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়তার কারণে সম্পূর্ণভাবে দেশের খরচে এ ধরনের মেগা প্রকল্প এটাই প্রথম। সদিচ্ছা থাকলে, সৎ থাকলে, দেশপ্রেম, জবাবদিহিতা থাকলে, পদ্মাসেতুর মতো আরো বড় বাজেটের স্থাপনার কাজ সম্পন্ন করা এখন তেমন কঠিন নয়। আগামীতে এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আমাদের বিশ্বাস। বিজয়ের মাসে এমন সুখবর দেশের মানুষের মনোবলকে বাড়িয়ে দেবে, সাহস যোগাবে নিরন্তর। আর এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামের দুঃখ নামে পরিচিত কালুরঘাট সেতুর কাজও দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।