ঢাকার উত্তরায় বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের গার্ডার চাপা পড়ে বিধ্বস্ত প্রাইভেটকারের পাঁচ যাত্রী নিহত হলেও বেঁচে গেছেন দুজন, যাদের বিয়ে হয়েছে সম্প্রতি। ওই গাড়ি চালাচ্ছিলেন রুবেল মিয়া (৬০), আর তাতে ছিল তার ছেলে-পুত্রবধূসহ সাত স্বজন। চাপা পড়া সেই গাড়ি থেকে রুবেলের ছেলে হৃদয় (২৬) এবং তার স্ত্রী রিয়া মনিকে (২১) উদ্ধার করে উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়। খবর বিডিনিউজের।
হৃদয়ের বিয়ে গত শনিবারই হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তার খালাত ভাই রাকিব হোসেন। তিনি বলেন, বিয়ের পর স্ত্রী ও বাবাসহ স্ত্রীর স্বজনদের নিয়ে আশুলিয়া খেজুর বাগানে শ্বশুড়বাড়ি যাচ্ছিলেন হৃদয়।
হৃদয় ও তার স্ত্রীকে উদ্ধার করা গেলেও ভায়াডাক্ট চাপা সেই গাড়ির ভেতরে রয়ে যান রুবেল, হৃদয়ের শাশুড়ি ফাহিমা (৪০), ফাহিমার বোন ঝরনা (২৮), ঝরনার দুই সন্তান জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। ফায়ার সার্ভিস গাড়ি কেটে তাদের বের করা চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে আরেকটি ক্রেন এনে ভায়াডাক্টটি সরানোর পর গাড়ি থেকে পাঁচজনেরই লাশ উদ্ধার করা হয়।
রিয়া মনির খালাত ভাই শুভ বলেন, দুটি গাড়িতে করে তারা কাওলা থেকে আশুলিয়া যাচ্ছিলেন। তাদের গাড়ি পেছনে ছিল। তিনি বলেন, সামনের গাড়ি হৃদয়ের বাবা চালাচ্ছিলেন, পাশে বসেছিলেন হৃদয়। আর পেছনে বসেছিলেন হৃদয়ের স্ত্রী রিয়া মনি, তার মা, খালা ও তার দুই বাচ্চা। হৃদয়ের খালাত ভাই বলেন, তার খালু রুবেল পোশাক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। আর হৃদয়ের দোকান রয়েছে।