ফুটফুটে শিশু; মেধাবী। ক্লাসের শিক্ষক–শিক্ষার্থী সবার কাছে প্রিয় মোহাম্মদ জাকির হোসেন। গরিব এক স্কুলশিক্ষকের সন্তান। অভাবে থাকলেও মেধাবী হওয়ার কারণে লেখাপড়া নিয়ে বেগ পেতে হচ্ছিল না। শিক্ষকসহ নানাজনের সহায়তায় ভালোই চলছিল তার শিক্ষাজীবন। হাটহাজারীর পার্বতী মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণির ছাত্র জাকিরের রোল ৬। গত বার্ষিক পরীক্ষায় এই ফলাফল করে শিক্ষক–শিক্ষার্থী সবার কাছ থেকে প্রশংসা কুড়িয়েছিল সে। তার পিতা–মাতাও পরিবারের বড় সন্তান জাকিরকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো গত মার্চ মাসে জাকিরের শরীরে ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ে। কয়েকদিনের জ্বরসহ বিভিন্ন আনুষাঙ্গিক অসুস্থতার পরীক্ষা করাতে গিয়ে এই ঘাতক ব্যাধির মুখোমুখি হয় পরিবারটি।
জাকিরের পিতা মোহাম্মদ জহিরুল আলম হাটহাজারীর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের একজন শ্রমিক। তিনি বিএ পাস হওয়ায় কর্তৃপক্ষ তাকে গবেষণা কেন্দ্রের শিশুবাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কাজ করার সুযোগ দেয়। একজন নিয়মিত শ্রমিক হিসেবে তার সর্বসাকুল্যে মাসিক আয় ১৫ হাজার টাকা। এই টাকা দিয়ে ২ পুত্র, ১ কন্যা এবং স্ত্রীকে নিয়ে কোনোরকমে সংসার চলে। পরিবারের বড় সন্তান মোহাম্মদ জাকির হোসেনের এই রোগ ধরা পড়ার পর চিকিৎসা করানো নিয়ে দুঃচিন্তায় পড়েন তারা। অফিসের কর্মকর্তাসহ কিছু মানুষের সহায়তায় নানা পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা সম্ভব হলেও মূল চিকিৎসা শুরু করতে পারেননি। জাকিরের চিকিৎসার জন্য কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা দরকার। এই টাকার সংস্থান করা জহিরুলের পক্ষে সম্ভব নয়।
টাকার অভাবে মোহাম্মদ জাকিরের চিকিৎসা সম্ভব হচ্ছে না। মেধাবী এই শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সমাজের বিত্তবানসহ সর্বস্তরের মানুষের নিকট সাহায্য চাওয়া হয়েছে। বিকাশ : ০১৮১৪৯৫৪৭৭৭ এবং সোনালী ব্যাংক হাটহাজারী শাখার হিসাব নং ১০২২৩০১০১৭৯৪৫–এ সাহায্য পাঠানো যাবে। হাটহাজারী আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. মুহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন জাকির হোসেনের চিকিৎসায় সহায়তা করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।