সাদা সাদা গাঙচিলেরা উড়িয়ে দুই ডানা
মায়ের সাথে উড়ছে তাদের ছোট ছোট ছানা।
কখনো যে দূর আকাশে কখনো নীল জলে
এ দ্বীপটাকে পাহাড়া দেয় নানানরকম ছলে।
নাফ নদীটা এঁকেবেঁকে সাগর পানে ছুটে
কত্তো রকম ঢেউয়ের ফেনা মাঝ সাগরে ফুটে।
যেতে যেতে তীর দেখা যায় ঐ সেন্টমার্টিন নাকি?
ডুব দিয়ে মাছ ধরে গিলে মাছরাঙা এক পাখি।
চারপাশে বেশ জলরাশি মধ্যখানে এই দ্বীপ
মনে হবে সাগর যেন পরলো মস্ত লাল টিপ।
নারিকেল গাছ সারি সারি দাঁড়িয়েছে তীরে
বালুচরে হাঁটাহাঁটি রঙিন কাঁকড়ার ভীড়ে।
কেয়া গাছে আছে কাঁটা সুরক্ষা দেয় কতো
বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন দ্বীপ একটা ছবির মতো।
রঙবেরঙের শামুক, ঝিনুক পাবে বালুর মাঝে
বড়শী ফেলে জেলেরা মাছ ধরে সকাল– সাঁঝে।
ছেঁড়াদ্বীপের স্বচ্ছ জলে লাল নীল কতো ছবি
দেখে দেখে স্বপ্ন বুনেন নামকরা সব কবি।
যতদূর যায় এই দুটি চোখ দেখা যাবে ধু ধু—
আর কিছু নয় রাশি রাশি জলরাশি শুধু।