সিআইডির চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দাখিলে সময়ের আবেদন

মোস্তাকিমকে হেফাজতে নির্যাতনের মামলা

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২৫ মে, ২০২৩ at ৬:১৩ পূর্বাহ্ণ

চমেক হাসপাতালের সামনে অনুষ্ঠিত কিডনি ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধির আন্দোলন থেকে গ্রেপ্তার হওয়া সৈয়দ মো. মোস্তাকিমকে হেফাজতে নির্যাতন করা হয়েছে এমন অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তথ্যগত ভুল উল্লেখ করে সিআইডির দাখিলকৃত চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দাখিলের জন্য সময়ের আবেদন করা হয়েছে। গতকাল অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হালিমের আদালতে মোস্তাকিমের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ আবেদনটি করেন। একপর্যায়ে আদালত সেটি রিসিভ করেন এবং আগামী ৩১ মে’র জন্য পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন।

মোস্তাকিমের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুদরা আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আমরা নারাজি দাখিল করতে আগ্রহী। এ জন্য কয়েকদিনের সময় প্রয়োজন। আমরা সেটির জন্য আবেদন করলে আদালত সেটি রিসিভ করেন এবং ৩১ মে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। একই সাথে চূড়ান্ত প্রতিবেদনসহ মামলার নথি মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। চূড়ান্ত প্রতিবেদন এবং আমাদের নারাজি দাখিল বিষয়ে সেখানেই শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে গত ১৫ মে মামলার দুই আসামি যথাক্রমে পাঁচলাইশ থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ও এসআই আবদুল আজিজের অব্যাহতি চেয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. শাহনেওয়াজ খালেদ।

আদালত সূত্র জানায়, গত ২০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ জেবুন্নেছার আদালতে সৈয়দ মো. মোস্তাকিম নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন ২০১৩ এর ১৩ (), () এর () () () এবং ১৫ () ধারায় মামলাটি দায়ের করেন। তখন আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, মায়ের কিডনি ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে গত ১০ জানুয়ারি চমেক হাসপাতালের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনের একপর্যায়ে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিনসনহ একদল পুলিশ সেখানে জড়ো হয় এবং আন্দোলনকারীদের উপর চড়াও হয়। এছাড়া গ্রেপ্তার করা হয় আন্দোলনকারী সৈয়দ মো. মোস্তাকিমকে। তখন তাকে মারধর করা হয় এবং থানায় নিয়ে গিয়েও মারধর ও নির্যাতন করা হয়। মারধরের সময় এসআই আবদুল আজিজ মোস্তাকিমকে বলেন ‘ওসি নাজিম স্যারের সঙ্গে আর বেয়াদবি করবি? এ সময় ওসি নাজিম বলেন, ‘শালারে রিমান্ডে এনে থানায় পিটাতে হবে, তারপর বুঝবি পুলিশ কি জিনিস?’ এরপর থানায় মারধরের বিষয়টি ফাঁস করলে মোস্তাকিমকে ক্রসফায়ার দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধডেঙ্গু নিয়ে সতর্কবার্তা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামের উন্নয়নে একসাথে কাজ করবে চসিক ও চট্টগ্রাম বন্দর