সাতকানিয়ায় সড়ক উন্নয়নে অনিয়মের প্রতিবাদে প্রতীকী লাশ নিয়ে মানববন্ধন

সাতকানিয়া প্রতিনিধি | সোমবার , ১৮ জানুয়ারি, ২০২১ at ৯:০৭ অপরাহ্ণ

সাতকানিয়ার বাজালিয়া বোমাং হাট-নয়াহাট সড়কের উন্নয়ন কাজে অনিয়ম ও ধীরগতির প্রতিবাদে সড়কের উপর প্রতীকী লাশ রেখে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
আজ সোমবার (১৮ জানুয়ারি) বিকালে বাজালিয়া বোমাং হাটে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন সাতকানিয়ার পুরানগড়ের বাসিন্দা চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মোরশেদ আলী, ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিন, শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মুনাওয়ারুল কাদের চৌধুরী, আইয়ুব সিকদার, বিশিষ্ট ব্যাংকার তৌফিকুর রহমান সিকদার, চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইয়াছিন চৌধুরী জনি ও সাতকানিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রকিম উদ্দিন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাজালিয়া বোমাং হাট-নয়াহাট অত্যন্ত ব্যস্ততম একটি সড়ক। এ সড়ক দিয়ে বাজালিয়া-পুরানগড় ছাড়াও চন্দনাইশের ধোপাছড়ি এলাকার অধিকাংশ মানুষ এ সড়ক দিয়ে যাতায়ত করে। কিন্তু সংস্কারের অভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছিল। চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম চৌধুরী সড়কটির উন্নয়নের জন্য আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। ইতিমধ্যে টেন্ডারও হয়ে গেছে কিন্তু কাজের ধীরগতি ও সড়কের উপর মালামাল রেখে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করায় লোকজন সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। বর্তমানে সড়কটি দিয়ে যানবাহন চলাচল বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এছাড়া সড়কের উন্নয়ন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী।
বক্তারা আরো বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বিচ্ছিন্ন থাকায় বাজালিয়া-পুরানগড়ে উৎপাদিত শিমসহ শীতকালীন সবজি নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করে দিতে হচ্ছে। পরিবহন সমস্যার কারণে অনেক সবজি ক্ষেতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় অসুস্থ লোকজনকে হাসপাতালে নেয়া যাচ্ছে না। এমনকি সড়কের এহেন অবস্থার ফলে সম্প্রতি হাসপাতালে মারা যাওয়া এক যুবকের লাশ এ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে কাঁধে করে নিতে হয়েছে। এজন্য সড়কের উপর প্রতীকী লাশ রেখে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কের কাজ শেষ না করলে আরো কঠোর আন্দোলন করার ঘোষণা দেন তারা।
সাতকানিয়া উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী পারভেজ সারওয়ার হোসেন জানান, সড়কটি দু’টি অংশে ভাগ করে টেন্ডার দেয়া হয়েছে। একটি অংশে ৭১৫ মিটার আরসিসি এবং অপর অংশে ১ কিলোমিটার কার্পেটিং ও ২৫০ মিটার আরসিসি। দু’টি অংশ মিলে প্রায় আড়াই কোটি টাকার বরাদ্দ। বিকল্প জায়গা না থাকায় সড়কের উপর মালামাল রাখার বিষয়টি সত্য। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে। লোকজনের ভোগান্তি লাঘবে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফটিকছড়িতে সনাতন সংগঠনের শীতবস্ত্র বিতরণ
পরবর্তী নিবন্ধউন্নয়ন কাজে এলাকার বিশিষ্টজনদের পরামর্শ নিয়ে কাজ করে যাব: হাসান মুরাদ বিপ্লব